পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নোয়াখালী ব্যুরো : একসময় নোয়াখালীর উপকূলীয় বনাঞ্চলকে দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন বলা হত। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী কর্তৃক বনদস্যু বাহিনীর সহযোগিতায় মূল্যবান বনাঞ্চল উজাড় করে বিশাল অঞ্চলকে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে। পরবর্তীতে বনদস্যুরা অর্থের বিনিময়ে এসব ভূমি বিভিন্ন গোষ্ঠীর নিকট হস্তান্তর করে। বর্তমানে হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস করছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। বনের মূল্যবান বৃক্ষ ও হরিণ শিকারে ব্যস্ত রয়েছে অসাধু চক্রটি।
উপকূলীয় বনোৎপাদন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমীর হোসাইন জানান, চলতি বছর নভেম্বরে হাতিয়া উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর ভূমিতে বনায়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় নদীগর্ভে জেগে ওঠা বিশাল চরাঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি নতুন চরে মধ্যে অন্তত ১৯ হাজার হেক্টর ভূমিতে বনায়ন সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রধান বন সংরক্ষক কার্যালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে উপকূলীয় ও দ্বীপাঞ্চলে পুনরায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে উঠবে।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মেঘনার বুক চিরে প্রায় ১৬টি নতুন চর জেগে উঠেছে। এর মধ্যে ৪টি চরে জনবসতি গড়ে উঠেছে। অবশিষ্ট চরগুলো বন বিভাগের আওতায় আনা হলে উপকূলীয় অঞ্চল সবুজ বেষ্টনীতে পরিণত হবে। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় বনাঞ্চল মহাপ্রাচীর হিসেবে ক্ষয়ক্ষতি রোধ করে থাকে। কিন্তু বনাঞ্চল উজাড়ের কারণে গত কয়েক বছরের সৃষ্ট ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে এতদঞ্চলে ব্যাপক জানমালহানি ঘটছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।