Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী সরকার সন্ত্রাস বিতরণের কেন্দ্র: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

বর্তমান শাসন সম্পূর্ণরূপে গণতন্ত্র বিবর্জিত এবং মাফিয়াদের দ্বারা পরিচালিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ৬ মহানগরীর মহাসমাবেশ কর্মসূচিকে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমাবেশ শক্ত হাতে দমনের হুমকি দিয়েছেন। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জণরোষের ভয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা ঘরে বসে হুঙ্কার দিচ্ছেন। এই হুঙ্কার দিয়ে লাভ নেই। আপনাদের জারিজুরি সব ক্রমাগতভাবে ফাঁস হচ্ছে। সভা-সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। এটি বন্ধ করার হুমকি কোন রাজনৈতিক নেতা দিতে পারেন না, সেটি কেবল মাফিয়ারাই দিতে পারে। এ থেকে প্রমাণিত হয় সুশাসন নয়, আওয়ামী সরকার সন্ত্রাস বিতরণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শুক্রবার ৬টি মহানগরে সমাবেশের জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন গত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা। এই সমাবেশের উদ্দেশ্য নির্বাচনী অনিয়মের প্রতিবাদ করা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি। এতেই আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক স্বভাবসূলভ হুমকির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন। আসলে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এখন নিজেদের ছায়া দেখলেই ভয় পাচ্ছেন। যখন তখন দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র তত্ত¡ আাবিস্কারের ঘোষণা দেন এবং মানুষের কাছে তামাশার পাত্র হন।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্সের গবেষণার তথ্য তুলে ধরে রিজভী বলেন, ইকোনমিষ্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গবেষণায় যে প্রকাশ করেছে তাতে স্বৈরতান্ত্রিক বা কর্তৃত্ববাদী শাসনের তালিকায় আছে বাংলাদেশ। গত এক দশক ধরেই বাংলাদেশের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি। এক দশক ধরেই বাংলাদেশের নিজস্ব ভূমিতে গণতন্ত্রের শিকড় যাতে না গজাতে পারে এজন্য আওয়ামী সরকার সকল শক্তি নিয়োগ করেছে। গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যা ও লাখো লাখো মিথ্যা মামলার ছড়াছড়ি শুধু নয়, বিরোধী দলকে দমন ও গণমাধ্যমের কন্ঠরুদ্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নানা কালাকানুন করে অমানবিক নিষ্ঠুরতার সীমাহীন আবর্তের মধ্যে দেশকে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমানে শুধু বিরোধী দল ও মত নয়, সাংবাদিকদেরও কোন নিরাপত্তা নেই, ডিজিটাল জগতে স্বাধীনভাবে প্রবেশের কোন অধিকার নেই। এদের শাসনামলে ৫০ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। গতবছরও দু’জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন, ৭৮ জনকে মেরে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে, ১৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তাই বিএনপিসহ বিরোধী দলের কোন সমাবেশের কথা শুনলেই ওবায়দুল কাদের সাহেবদের কাঁপুনি ধরে। কারণ প্যান্ডোরাস বক্স খুলে গিয়ে সকল সত্যগুলো পুনরায় বের হতে থাকবে।
খালেদা জিয়ার কারাবন্দীর তিনবছর উপলক্ষে সারাদেশে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র অর্জনের প্রশ্নে স্বমহিমায় অটল-আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রায় তিন বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। গত মার্চে কারাগার থেকে বাড়ীতে নিয়ে আসা হলেও তিনি মূলতঃ গৃহবন্দী। আজ তাঁর এই বন্দীত্বের জন্য সারাজাতি বেদনায় ভারাক্রান্ত। এই ঘোর তিমিরঘন পরিবেশের অবসান ঘটবেই। আওয়ামী-লাঠিপেটা গণতন্ত্রের কবর রচনা হবেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণ মুক্ত করবেই। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দী রাখার প্রতিবাদে ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী সকল জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী-সরকার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ