পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অনলাইনে ই-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন ও বিপণন বন্ধে আহবান জানিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ই-ক্যাব ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের যৌথ উদ্যোগে ‘ই-সিগারেট’ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও তার বাস্তবায়নে অনলাইন উদ্যোক্তাদের করণীয়' শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।
রুরাল ই-কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ইবরাহিম খলিলের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, ই-ক্যাব'রসহ-সভাপতি সাহাব উদ্দীন শিপন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন'র স্বাস্থ্য ও ওয়াস সেক্টর'র পরিচালক ইকবাল মাসুদ, ই-ক্যাব'র ই-হেলথ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. সালেহ মাহমুদ তুষার, ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর'র সহকারী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান।
ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, তামাক সবদিক দিয়েই ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার উপায় হিসেবে ই-সিগারেটকে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারতে এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। পৃথিবীর অনেক দেশেও ই-সিগারেট ক্ষতিকর বলেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি।
ইকবাল মাসুদ বলেন, ই-সিগারেট বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্টাইল ও আভিজাত্যের প্রতীক। আর যুব সমাজ যেহেতু অনলাইনের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল, সুতরাং অনলাইনে তামাকজাত পণ্যের সহজলভ্যতা তাদেরকে ই-সিগারেটের প্রতি আরও উৎসাহিত করবে। অনলাইনে ই-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যে বিক্রয় বন্ধে ই-ক্যাব এক্ষেত্রে বড় ভ‚মিকা রাখতে পারে।
ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দীন শিপন বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ব্যবসায়ীদের উচিত সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু বিক্রয় না করা। অন্তত নৈতিক দিক বিবেচনা করে হলেও ব্যবসায়ীদের উচিত তামাকজাত পণ্যে বিক্রয় না করা। ই-ক্যাবের সদস্যদের কাছে আমার এ ব্যাপারে অনুরোধ থাকবে যাতে আমরা ই-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্য বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকি। এছাড়া, আগামীতে ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা, আইসিটি নীতিমালা ও শুদ্ধাচার নীতিমালা সংশোধনে এই বিষয়ে সুপারিশ উত্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
ই-ক্যাবের ই-হেলথ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. সালেহ মাহমুদ তুষার বলেন, বিশ্বের ৪১টি দেশ ইতোমধ্যে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করছে। অন্য দেশগুলোতেও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ই-সিগারেট বন্ধে কোন আইন নেই। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্টদের উচিত এ ব্যাপারে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।