পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্থপতি ছিলেন, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ইসলামের প্রকৃত পরিচর্যাকারী উদার চেতনার একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান। গতকাল বুধবার নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তার অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করেননি। বাংলাদেশকে সব ধর্মের মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইসলামের প্রচার ও প্রসারেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম হজযাত্রীদের জন্য সরকারি তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেন এবং হজ ভ্রমণ কর বাতিল করেন। ফলে হজ পালনকারীদের আর্থিক সাশ্রয় হয়। তিনি বলেন, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা ইতিহাসে চিরদিন লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ইসলামের খেদমতে যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পৃথিবীতে তার দৃষ্টান্ত বিরল।
বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ মুজিবুর রহমান ইসলাম ধর্মের প্রসারে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকান্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসীন করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার। ১০ হাজার কেটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন।
মো. ফরিদুল হক খান বলেন, করোনাকালীন মসজিদের ঈমাম ও মোয়াজ্জিনদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। কওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন এখন সরকারি অর্থে পরিচালিত অন্যতম একটি বৃহৎ সংস্থা হিসেবে বিশ্বনন্দিত। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা নদভী, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. আ. হামিদ জমাদ্দার, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।