পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের মতো আমাদের আন্দোলন টাকার ওপর ভর করে নয়। গায়ে-গতরে অসংখ্য মানুষের ঘামে, শ্রমে এই আন্দোলন গড়ে উঠেছে। দেশপ্রেমীরা স্বতস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। ক্ষমতার রাজনীতি করা বড় দলগুলোর মতো আমাদের আন্দোলন টাকার ওপর নির্ভর করে না। কারও পৃষ্ঠপোষকতার তোয়াক্কা করে না। আপনাদের কাছে এগুলো অবিশ্বাস্য মনে হবে। গতকাল রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন। রামপাল প্রকল্প বাতিল না হওয়া পর্যন্ত দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, গণজাগরণ সৃষ্টি করে আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিমউদ্দিন খান, মোসাহেদা সুলতানা, নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনের প্রতি কটাক্ষ করে প্রশ্ন তুলেছেন, এত আন্দোলনের খরচ কে জোগান দেয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যখন আমাদের ফুলবাড়ী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, তখন আমরা যেভাবে খরচ জোগাড় করতাম, এখনো সেভাবেই জোগাই। ১০ বছর আগে যখন বিএনপি-জামায়াত সরকার দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গুলি চালিয়েছিল, সাধারণ মানুষ তখন ব্যাপক গণজাগরণ তৈরি করেছিল। আওয়ামী লীগ সেই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিল। সে সময় বর্তমান সরকারের মতোই তৎকালীন সরকার ‘থলের বিড়াল তত্ত্ব’ হাজির করেছিল। আন্দোলন নিয়ে নানা কুৎসা রচনা করেছিল। সরকারে থাকলে একই দলগুলোর ভূমিকা সম্পূর্ণ বিপরীত হয়। গুলি, লাঠি, টিয়ার গ্যাস, হামলা, নির্যাতন, কুৎসার কোনো কিছুই তারা বাদ দেয় না। বর্তমান সরকারের ভূমিকাও এর প্রমাণ। রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল ও সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে কোনো ঐক্য না করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এই প্রকল্প পুনর্বিবেচনার চিন্তা করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি আলোচনাতে আমরা রাজি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।