পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জঙ্গিদের অর্থ জোগানদাতা ও অস্ত্রের উৎসের অনুসন্ধান করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা
উমর ফারুক আলহাদী : সীমান্তের ওপার থেকে আসছে ভয়ঙ্কর অত্যাধুনিক অস্ত্র। সাধারণ সন্ত্রাসীরাই নয়, জঙ্গিরাও ব্যবহার করছে এসব ভয়ঙ্কর অস্ত্র। জঙ্গি গ্রেফতার হয়, অস্ত্র উদ্ধার হয়, কিন্তু সীমান্তের ওপার থেকে অস্ত্র আসা প্রতিরোধ কিংবা বন্ধ হচ্ছে না। সম্প্রতি কয়েকটি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি আস্তানা থেকে এসব ভয়ঙ্কর অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এসব অস্ত্রের আমদানী, উৎসস্থল, অর্থ যোগানদাতা এবং সীমান্তের তথা কথিত বিশেষ নিরাপত্তা নিয়ে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গিদের হাতে যেসব অস্ত্র এসেছে, সেগুলো সীমান্তপথে দেশে আনা হয়েছে। প্রথমে নেপাল ও পরে বিহারে। সেখান থেকে ভারতের বিভিন্ন পথ ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে গুলশানে জঙ্গিদের ব্যবহৃত একে-২২ রাইফেল। হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গি রোহানের কাঁধে যে অস্ত্রটি ঝুলতে দেখা যায় সেটিও ছিল একে-২২ রাইফেল। রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরুর আগে একে-২২ নিয়ে পালিয়ে যায় এক জঙ্গি।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন অভিযানে পুলিশ বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র জব্দ করে। এর মধ্যে রয়েছে এলএমজি ২টি, এম ১৬ এ-১ রাইফেল ৩টি, চাইনিজ ও দেশীয় এসএমজি ৩টি, পয়েন্ট ২২ এবং ৩০৩ পয়েন্টের রাইফেল ১৩টি, কাটা রাইফেল ৯টি, ডিবিবিএল ২১টি, এসবিএল ৬৩টি, দেশি রিভলবার ৩৫টি, বিদেশি রিভলবার ৮০টি, দেশি পিস্তল ৪৯টি, বিদেশি পিস্তল ৫৩৬টি, বন্দুক ৯১টি, কাটা বন্দুক ১০টি, পাইপগান ১৫৩টি, শাটার গান ১০৪টি, এলজি ১৫০টি, এয়ারগান ৩০টি, ওয়ান শ্যুটার গান ৮০টি, গুলি প্রায় ৬ হাজার রাউন্ড ও কার্তুজ ১২৭৯টি। জঙ্গিদের কাছ থেকে এত অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দের পরও আর কত অস্ত্র ও গোলাবারুদ জঙ্গিদের কাছে রয়েছে জানতে চাইলে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমরা অস্ত্র উদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জঙ্গিদের কাছে এখনও অনেক অস্ত্র মজুদ আছে। তবে ব্যবহারকারীদের নিউট্রাল (নিষ্ক্রিয়) করতে পারায় সেগুলোর বহুবিধ ব্যবহার সীমিত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, জঙ্গিদের কাছে থাকা সেসব অস্ত্র জব্দেও আমরা বেশ সক্রিয় রয়েছি।
জঙ্গিদের অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, অবৈধ অস্ত্র সব সময়ই চোরাপথে আসে। জঙ্গি বা সন্ত্রাসীরা চোরাচালানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করে থারেক। তিনি বলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইসহ কয়েকটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাও জঙ্গিদের অস্ত্র ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। যে প্রক্রিয়ায় ১০ ট্রাক অস্ত্র এসেছিল, সেই একই প্রক্রিয়াতেই জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র আসছে। কালোবাজারিদের কাছ থেকেও জঙ্গিরা অস্ত্র সংগ্রহ করছে।
বিভিন্ন সূত্রমতে, সিলেট, কুমিল্লা, আখাউড়া, সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে অবাধে আসছে অবৈধ অস্ত্র। রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে সম্প্রতি অবৈধ অস্ত্র আমদানির পরিমাণ বেড়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, গত বছর এ দুটি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কেবল র্যাব রাজশাহী-৫-এর সদস্যরাই ৯৪টি অস্ত্র উদ্ধার করে। এর মধ্যে রয়েছে ৬০টিই ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা থেকে। অস্ত্রগুলোর মধ্যে বিদেশি পিস্তল ৬৪টি, রিভলবার ১৩টি, শুটারগান ১৩টি, পাইপ গান ১টি এবং এলজি ৩টি।
চলতি বছর র্যাব-৫-এর সদস্যরা এরই মধ্যে ৩৮টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। যার মধ্যে ২৬টিই উদ্ধার করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা থেকে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদেশি পিস্তল ২৯টি, রিভলবার ১টি, শুুটারগান ১টি, এসএমজি ১টি, রাইফেল ২টি, ব্যাজএমটি এয়ার ক্রাফট গান ১টি, হেভি মেশিন ২টি এবং পাইপ গান ১টি। চলতি বছরের ১৩ মার্চ সকালে ৮টি বিদেশি পিস্তল, ১৬টি ম্যাগাজিন ও ১৪০ রাউন্ড গুলিসহ আলাউদ্দিন (৫০) নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যাব। তিনি শিবগঞ্জের ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম চাঁপাটিলার বাসিন্দা। অস্ত্রগুলো নিয়ে বাইসাইকেলে চেপে আলাউদ্দিন সোনামসজিদ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় র্যাব তাকে আটক করে।
এদিকে গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষেও দেখা যায় জঙ্গিদের মৃতদেহের সঙ্গে একে-২২ রাইফেল।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, সীমান্তপথে জঙ্গিরা অস্ত্র সংগ্রহ করছে। গুলশানসহ বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় পাওয়া জঙ্গিদের অস্ত্রের উৎস বের করতে আমরা কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে এটা নিশ্চিত যে, সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিরা অস্ত্রগুলো এনেছে। মনিরুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রে উৎস, অর্থের জোগানদাতা এবং কিভাবে এসব অস্ত্র এসেছে, এর অনেক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। আমরা অর্থের যোগানদাতাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এটা ঠিক যে তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে নব্য জেএমবি কাজ শুরুর পর তাদের আর অর্থ সংকট হয়নি। ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়াও বিভিন্ন পথে সে টাকা সংগ্রহ করতো। অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহে তার সক্ষমতা ছিল অনেক বেশি। এখন তার মৃত্যু হওয়াতে তারা আবার হোঁচট খাবে।
জঙ্গি দমনে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, জঙ্গিরা আগে অর্থ সংকটের কারণে ভারী অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারতো না। তখন তারা ধারালো ও কম দামি ছোট অস্ত্রের ব্যবহার করত। সে কারণে অর্থ সংগ্রহের জন্য তারা আশুলিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাংক ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরি করেছিল। কিন্তু প্রায় দু’বছর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরী যুক্ত হওয়ার পর অর্থ ও অস্ত্র নিয়ে জঙ্গিদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তামিমের মাধ্যমে তারা বান্ডিল বান্ডিল টাকা পাওয়া শুরু করে। ফলে, নব্য জেএমবির উত্থান ঘটে।
আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, জঙ্গি অর্থায়ন এবং তাদের অস্ত্রের উৎস কোথায়, কোথায় থেকে কিভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শোলাকিয়া ও গুলশানে ব্যবহৃত অস্ত্রের উৎসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব হামলার নেপথ্যে কারা তাদের কয়েকজনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।
জঙ্গি দমনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন সময় জঙ্গিদের কাছ থেকে ছোট-বড় অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারপরও তাদের কাছে এখনও বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে বলে মনে করেন তারা। তাই সবার মনেও প্রশ্নÑকত অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে জঙ্গিদের কাছে? জঙ্গিদের কাছে থাকা এসব অস্ত্র জব্দে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম। একই সঙ্গে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদের উৎস ও যোগানদাতাদের ধরতে অনেক আগে থেকেই কাজ করছেন তারা। জানতে চেষ্টা করছেন, কীভাবে এবং কোন পথে জঙ্গিরা এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করছে।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবেই তারা গুলশান হামলায় অস্ত্র ও অর্থের উৎস জানার চেষ্টা করছেন। জানার চেষ্টা করছেন, অস্ত্র উৎপাদনকারী কোন দেশ থেকে এসব অস্ত্র প্রথমে নেপালে ও পরে বিহারে যায়। সেখানে অস্ত্রের গায়ে কিছু ঘষামাজা করা হয়। এরপর সেখান থেকে ভারতের বিভিন্ন পথ দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসে। এসব অস্ত্র কখনও ভারত থেকে ওই চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশে পৌঁছে দেয়। কখনও এপার থেকে গিয়েও তারা নিয়ে আসে। তবে অস্ত্রের চেয়ে বিস্ফোরকই বেশি আসে বলে জানান তিনি।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির হামলায় ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি জঙ্গিরা ভারী অস্ত্র একে-২২ রাইফেল ব্যবহার করে। হামলায় অংশ নেওয়া ৫ জঙ্গির একজন ছিল রোহান ইবনে ইমতিয়াজ। পরে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতেও দেখা যায়, তার কাঁধে ঝুলছে একে-২২ রাইফেল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পর সেখান থেকে ৪টি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ফোল্ডেট বাট একে-২২ রাইফেল, ৪টি অবিস্ফোরিত হাতে তৈরি গ্রেনেডসহ (আইইডি) দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়। গুলশান হামলার কয়েকদিন পর ৭ জুলাই শোলাকিয়ার হামলাতেও জঙ্গিরা ধারালো অস্ত্রের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। একে-২২ নামের যে সেমি-অটোমেটিক রাইফেলটি গুলশানের হলি আর্টিজান থেকে জব্দ করা হয়েছিল, গত জানুয়ারিতে ঠিক একই ধরনের ৮টি একে-২২ রাইফেল চট্টগ্রামের হামজা ব্রিগেডের কাছ থেকে জব্দ করে র্যাব সদস্যরা। এর আগে আরেকটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে গত বছরের শেষের দিকে একই এলাকা থেকে ৯টি একে-২২, একটি একে-৪৭ এবং বিদেশি ৪৪টি রিভলবার জব্দ করেছিল র্যাব। এ বছরের শুরুর দিকে বগুড়ার দুটি জঙ্গি আস্তানা থেকেও একে-২২ রাইফেল, জার্মানির তৈরি এসএমজি, পিস্তল, হাতে-তৈরি গ্রেনেড ও বিপুল বিস্ফোরক জব্দ করে র্যাব।
র্যাবের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর ২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে র্যাব জঙ্গিদের কাছ থেকে ৩৯৯টি গ্রেনেড, বোমা ও ককটেল জব্দ করেছে। গ্রেনেডের বডি জব্দ করেছে ৬২৪টি। বিভিন্ন ধরনের ডেটোনেটর জব্দ করা হয়েছে ৯ হাজার ১৮৮টি। ১০১টি ছোট-বড় অস্ত্র, ৫ হাজার ৭৩ রাউন্ড গুলি এবং বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক জব্দ করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার কেজি। এ সময়ে কেবল জেএমবি সদস্য আটক হয়েছে ৬৩০ জন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও আনসার আল ইসলামসহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের ১ হাজার ২০১ জন সদস্যকে আটক করে র্যাব।
জঙ্গিদের কাছ থেকে জব্দ করা এসব অস্ত্রের উৎস কোথায় জানতে চাইলে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ বলেন, গুলশান হামলায় জঙ্গিরা একে ২২ নামের যে অস্ত্র ব্যবহার করেছে, ঠিক একই রকম অস্ত্র চট্টগ্রামের হামজা ব্রিগেডসহ কয়েকটি জঙ্গি আস্তানা থেকে জব্দ করা হয়েছে। কয়েকটি জঙ্গি আস্তানা থেকে জব্দ হওয়া অস্ত্রের উৎস জানতে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
অস্ত্র উদ্ধার সম্পর্কে জানতে চাইলে র্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আব্দুস সালাম জানান, রাজশাহী অঞ্চলে যেসব অস্ত্র তারা উদ্ধার করেছেন বা করছেন সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায়। এগুলোর বহনকারী বা ব্যবসায়ী যাদের আটক করা হয়েছে তাদের অধিকাংশরই বাড়ি আবার শিবগঞ্জ এলাকায়। ফলে অস্ত্রগুলো কোন রুট দিয়ে আসছে, এটি এখনো খুঁজে বের করতে তদন্ত করে যাচ্ছে র্যাব। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, অস্ত্রের রুটের সন্ধানে র্যাব কাজ করে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।