পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ায় সম্প্রতি বেআইনী অ্যালকোহল, নিম্নমানের বাংলা ও চোলাই মদ বিক্রি ও সেবনের ঘটনা বেড়ে গেছে। বগুড়া শহরের কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে রীতিমত ডাম্পিং স্টোর করে বিক্রি হচ্ছে মাদক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের মাসোহারা দিয়েই চলছে এই কারবার। এর ফলে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে ঘটছে অকাল মৃত্যুর মত অনভিপ্রেত ঘটনা। গত রোববার ও সোমবার বগুড়ায় মদের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
জানা যায়, গত রোববার রাতে শহরতলীর পুরান বগুড়া সংলগ্ন তিন মাথা রেলগেট, ফুলবাড়ি ও কাটনারপাড়া এলাকায় ৫ জনের মৃত্যু হয়। ৫ জনই মারা যায় বিষাক্ত মদপানের কারণে। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলো পুরান বগুড়ার রাজমিস্ত্রী রমজান আলী (৪০) ও সুমন (৩৮), কাটনার পাড়ার টোকাইপট্টির কুলি শ্রমিক সাজু (৫৫) ও বাবুর্চি মোজাহার আলী (৭০) এবং ফুলবাড়ি সরকার পাড়া এলাকার আব্দুল জলিল (৬৫) ও পলাশ (৩৫)।
মৃতদের স্বজনের দেয়া তথ্যে জানা যায়, বগুড়া শহরের তিন মাথা এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বাড়িতে আগত লোকজন পাশের শাহীনের হোমিও দোকান থেকে মদ পান করে। তাদের মধ্যে রোববার রাতেই সুমন ও তার বাবা প্রেমনাথ ও চাচা রামনাথ এবং প্রতিবেশী রমজান অসুস্থ হয়ে পড়ে। গতকাল সোমবার ভোরে তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। মদপানে অসুস্থ তার দুই ভাই প্রেমনাথ ও রামনাথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ বলে চিকিৎসকরা জানান। একই কারণে অসুস্থ রমজান স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মারা যায়।
অপরদিকে শহরের কালিতলা এলাকায় একই রাতে মদ পান করে সাজু, মোজাহার ও আব্দুল জলিল। রাতে বাড়ি ফিরলে অসুস্থ হয়ে তিনজনই মারা যান। জানতে চাইলে বগুড়া সদর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে তবে যারা মারা গেছে প্রত্যেকের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের পরিবার বিষাক্ত মদপানে মারা যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে পুলিশ ঘটনার অধিক তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি বগুড়া শহরতলীর মাটিডালি, চারমাথা, তিনমাথা রেল গেট, চকসুত্রাপুর, রেল স্টেশন সংলগ্ন সুইপারপট্টি, বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন সুইপারপট্টি, চেলোপাড়া এলাকায় মাত্রাছাড়া মাদক কেনাবেচা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ মাসোহারা নেয়ায় ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে মাদক ব্যবসায়ী চক্র। গত কিছুদিন ধরেই বগুড়ায় হেরোইন, ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হলেও অবৈধ মদ, চোলাই বাংলামদের বিরুদ্ধে তেমন কোন দৃশ্যমান অভিযান চোখে পড়েনি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।