পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের ডাক সাধারণ শিক্ষার্থীদের
জবি সংবাদদাতা : আবাসিক হলের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ফের দফায় দফায় হামলা চালিয়েছেন জবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সুমনা ক্লিনিক ও ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে হলের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীর উপর হামলা করার প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। উদ্ভূত পরিস্থিতি জানতে চেয়ে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে তালা দিয়ে সিলগালা করে দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে মিছিলে হামলা চালানো হয় বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থী রফিুকল ইসলাম, আমজাদ হোসেনসহ ৮ থেকে ১০ জন আহত হন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সুমনা ক্লিনিক ও ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরবর্তীতে ১০টার দিকে সব শিক্ষার্থী আবার জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আবার হামলা চালানো হয়। এতে ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। তাদের কয়েকজনকে ন্যাশনাল মেডিকেলে নেয়া হয়। ছাত্রধর্মঘটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল আমিন বলেন, ছাত্রলীগের দফায় দফায় হামলার কারণে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আট-নয়জনের অবস্থা গুরুতর। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, কারও ওপর তারা হামলা করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।