Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শুধু ব্যবসায়ীদের দিকে নয় গবেষণায় নজর দিন

সরকারের প্রতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আহবান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের দিকে নয় গবেষণায় দিকে নজর দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশে নতুন অনন্য সার্স কোভ -২ ভেরিয়েন্টে শনাক্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটা অনুরোধ করছি সরকারকে, শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের দিকে নজর না দিয়ে গবেষণার দিকে নজর দিন। গবেষণার দিকে নজর দিলে করোনা ভাইরাস বিষয়ে ব্যাপক আকারে গবেষণা করা যাবে। বাংলাদেশের তরুণ গবেষকরা যতগুলো ভ্যাকসিনের নাম শুনেছেন সবগুলো ভ্যাকসিন ছয় মাসের মধ্যে তৈরি করতে পারবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ৪৩ বিলিয়ন ডলার মজুদ রয়েছে। একটা অত্যন্ত ভালো খবর। এ টাকা যেন ব্যবসায়ীরা খেয়ে না ফেলে। সেই জন্য প্রতিবার সরকারকে অনুরোধ করছি মাত্র হাফ বিলিয়ন ডলার, জনপ্রতি মাত্র তিন ডলার সরকার গবেষণার জন্য বিনিয়োগ করুক। আমাদের প্রতিটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে পারবে। তাদের গবেষণার সুযোগটা করে দিতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতিটা মানুষের মঙ্গলার্থে এ গবেষণা করা প্রয়োজন। এজন্য আমরা বলছি কোয়ার্টার বিলিয়ন গবেষণার কাজে, বাকি কোয়াটার ভ্যাকসিন উৎপাদনে ব্যয় করা হবে। বিদেশ থেকেও আমরা গবেষক আনতে পারি। বর্তমান সময়ে বাজারে যতগুলো ভ্যাকসিন রয়েছে তার সবগুলোই আমরা ছয় মাসে তৈরি করতে পারি। গণস্বাস্থ্য-আরএনএ মলিকুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের দক্ষ গবেষকরা প্রাপ্ত ক্লিনিক্যাল নমুনা থেকে সার্স কোভ -২ ভেরিয়েন্টের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স করেছেন। মতবিনিময় সভায় গবেষকরা বলেন, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা ভাইরাস সদৃশ্য মিউটেশন পাওয়া গেছে। মিউটেশন যেকোনো ভাইরাসের সাধারণ একটি বৈশিষ্ট্য। ভাইরাস প্রতিনিয়ত এর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে। করোনা ভাইরাস প্রতিনিয়ত এর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে। একই সঙ্গে ভাইরাস উৎপাদনকারি কোম্পানিগুলোকেও করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের চরিত্র পরিবর্তন করতে হবে।

গবেষকরা জানান, সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাক্সিনেশন অতি দ্রুত শেষ করার। যত দ্রুত আমরা জনগণকে টিকা দিতে পারবো তত তাড়াতাড়ি করোনা জনিত রোগ ছড়িয়ে পড়া বাধাগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে করোনার মারাত্মক কোনো মিউটেশনের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবো। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য সামাজিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ডা. অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী, বিভাগীয় প্রধান মাইক্রোবায়োলজি ড. মাহবুবুর রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রায়েদ জমিরউদ্দিন, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর নীহাদ আদনান, গণস্বাস্থ্যের করোনা কিটের সমন্বয়ক এবং মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে আইসিইউ প্রধান অধ্যাপক নজিব মোহাম্মদ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গবেষণায়-নজর-দিন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ