জনগণের উৎসাহে করোনা টিকার বিরুদ্ধে বিএনপি’র অপপ্রচারে ভাটা পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের অর্জন ও বর্তমান প্রজন্মের ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা ও কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসাদুজ্জামান মোল্লা দূর্জয়ের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির শুরুতে অনেকে আতঙ্কে ছিল এমনকি কেউ কেউ প্রার্থনাও করেছিল যে, বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মৃত্যুবরণ করবে এবং রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। সৃষ্টিকর্তার কৃপায়, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে দেশে একজন মানুষও অনাহারে থাকেনি, রাস্তায় লাশ পড়ে থাকেনি। এরপর তারা আশা করেছিল করোনার ভ্যাকসিন সঠিক সময়ে আনতে বা সংগ্রহ করতে পারবে না। সরকার তার ঘোষণা অনুসারে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ৭০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেশে এনেছে। এতে তাদের সেই আশার গুড়েবালি।

ড. হাছান বলেন, অপপ্রচারকারীরা এরপর বললো যে, এই ভ্যাকসিন কাজ করবে না আর এই ভ্যাকসিন আগে সরকারের মন্ত্রী-আমলাদের নিতে হবে। এখন সরকারের মন্ত্রী-আমলারা আগে করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছে ফলে তাদের মুখটা চুপসে গেছে। যদিও বা এমপি, মন্ত্রী ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আগে নিতে চায়নি, কিন্তু মানুষকে পথ দেখানোর জন্যই অনেকে নিয়েছেন, তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র নানা অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামে ৫২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১টি কাউন্সিলরও তারা পায়নি। এটি তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং একইসাথে তারা যে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সেটির বাস্তবতা।

অনলাইন একুশে বইমেলা : অনলাইন একুশে বইমেলা উদ্বোধন করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে বইঅনলাইনবিডিডটকম (নড়রড়হষরহবনফ.পড়স) আয়োজিত ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী এ মেলা উদ্বোধন করেন তিনি। আয়োজক সংস্থার কর্ণধার রবীন আহসান এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে অনলাইন বই মেলা আয়োজনে উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়িত হওয়ার ফলেই আজ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বই মেলা আয়োজন সম্ভব হয়েছে। বই পড়াকে উৎসাহিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য, আজকের শিশু-কিশোর-তরুণদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস আগের মতো নেই। এই বই মেলা সেই অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়ক হবে এবং মানুষের মাঝে দেশাত্মবোধ- মমত্ববোধ জাগ্রত করতে এবং নিজেদের বীরত্বগাঁথাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে।