পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতীয় সন্ত্রাসী পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও গাড়িতে নকল বোমা রেখে হুমকি দেয়ার অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একটি টিম। গ্রেফতারকৃত অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। সে হিন্দি সিনেমা, সিরিয়াল, ইউটিউব দেখে নকল বোমা বানানো এবং সন্ত্রাসী পরিচয়ে হুমকি-ধমকি দেয়ার কৌশল শেখে। হিন্দি সিনেমা দেখার কারণে হিন্দি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা অর্জন করে। গত বুধবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার।
তিনি আরো বলেন, কুখ্যাত মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিলের পরিচয় দেয় সে। টাকা না দিলে বোমা মেরে পরিবারের সদস্যদেরও হুমকি দেয়। যে ব্যবসায়ীকে হুমকি দেয়া হয় তিনি গুলশানের একটি সুপার শপের মালিক। বোমা বানানোর কৌশল শিখে সে লাল স্কচটেপ, পাইপ, ইলেকট্রিক তার, পেন্সিল ব্যাটারি ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে বোমাসদৃশ বস্তুটি তৈরি করে নিজের কাছে রাখে। পরে ওই ব্যবসায়ী তার প্রাইভেটকার নিয়ে ঢাকা থেকে লৌহজংয়ে তার এক আত্মীয়ের জানাজায় যোগদান করতে গেলে গ্রেফতারকৃত কিশোর সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীর প্রাইভেটকারের নিচে স্কচটেপ দিয়ে বোমাসদৃশ বস্তুটি আটকে দেয়।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃত মূলত গুলশানে বসবাসকারী এক ব্যবসায়ীর (ভিকটিম) গ্রামের বাড়ির কেয়ারটেকারের ছেলে। সে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর একটি কাপড়ের দোকানে চার হাজার টাকা বেতনে সেলসম্যানের কাজ নেয়। কিন্তু অল্প সময়ে দ্রæত ধনী হওয়ার আশায় সেখান থেকে পালিয়ে আসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ধনী হওয়ার জন্য এই ব্যবসায়ীর পরিবারকে টার্গেট করে সে। এরপর ঘটনার দুই মাস আগ থেকেই সে ব্যবসায়ীর পরিবারকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করে।
তিনি বলেন, গত ১১ জানুয়ারি রাত ৪টায় ‘ভারতীয় সন্ত্রাসী’ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাজধানীর গুলশানের ওই ব্যবসায়ীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে কিশোর। টাকা না দিলে বোমা মেরে তার পরিবারের সদস্যদের উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরদিন বিকাল ৪টায় ওই ব্যবসায়ীর ড্রাইভার পার্কিং করা গাড়ির নিচে বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি বাড্ডা থানাকে জানালে পুলিশ ডিএমপির সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে অবহিত করে।
পরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বস্তুটি অপসারণ এবং ধ্বংস করে। পরে বিশ্লেণে দেখা যায় বস্তুটি একটি অকার্যকর বোমা ছিল। ব্যবসায়ীর অভিযোগে বাড্ডা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। এ ঘটনার তদন্ত ও রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয় ডিবি টিম। গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ শেষে ওই ঘটনার মূলহোতাকে শনাক্ত করে।
হাফিজ আক্তার বলেন, সা¤প্রতিককালে রাজধানীতে বিভিন্ন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে চাঁদা দাবি করার মতো ঘটনা ঘটছে। দেশে শীর্ষ সন্ত্রাসী বলতে কিছু নেই। কেউ যদি এমন প্রতারণার শিকার হন তাহলে দ্রæত বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।