পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর রিভিউয়ের রায় দেয়া হবে আগামীকাল (মঙ্গলবার)। শুনানি শেষে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ২৪ আগস্ট রিভিউয়ের শুনানি শুরু হয়।
এদিকে গতকালের শুনানিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই মামলা পরিচালনাকারী প্রসিকিউটরদের দক্ষতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে এই মামলা যারা পরিচালনা (প্রসিকিউটর) করেছিলেন, এবং যিনি (চিফ প্রসিকিউটর) তাদের সেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ মত দিয়েছেন তাদের ওই পদে থাকা উচিত নয়। শুনানিতে খন্দকার মাহবুব বলেন, হত্যাকা-ে মীর কাসেমের সরাসরি সম্পৃক্ততার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। তিনি বলেন, যে অভিযোগে (১১তম অভিযোগ) মীর কাসেম আলীর ফাঁসি বহাল রাখা হয়েছে এ অভিযোগটি প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি হত্যাকা-ে জড়িত ছিলেন এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি প্রসিকিউশন।
অপরদিকে শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, মীর কাসেম আলী চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে যে নির্যাতনে অংশ নিয়েছেন তা দিবালোকের মতো সত্য এবং প্রসিকিউশন তা আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বলেছি, ১১তম অভিযোগের (মুক্তিযোদ্ধা জসিম হত্যা) পক্ষে যে সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে তার ভিত্তিতে এ অভিযোগে আসামিকে সাজা দেওয়া যায় না। তারপরেও যদি আদালত মনে করেন অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে সে ক্ষেত্রে আমাদের নিবেদন থাকবে যে, যেহেতু মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে সরাসরি হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, সেহেতু তাকে মৃত্যুদ- দেওয়া আইনগতভাবে উচিত হবে না। তিনি আরও বলেন, মীর কাসেম আলী বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সেবার ক্ষেত্রে হাসপাতাল করে তিনি সেবা করেছেন। গণমাধ্যমে জড়িত ছিলেন। এটা তার সামাজিক কর্মকা-। তিনি তদন্ত চলা অবস্থায় বিদেশ গিয়ে ফিরে এসেছেন। কারণ, তিনি জড়িত ছিলেন না। তাই তার মনে কোনো সন্দেহ ছিলো না।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর তাকে মৃত্যুদ- দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের বিরুদ্ধে ৩০ নভেম্বর আপিল করেন তিনি। গত ৮ মার্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদ- বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ১৯ জুন মৃত্যুদ- পুনর্বিবেচনা চেয়ে আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেন মীর কাসেম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।