Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মীর কাসেমের মামলা পরিচালনা করতে ব্যর্থ প্রসিকিউশন-প্রধান বিচারপতি

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আপিলে ফাঁসির দ- পাওয়া জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মামলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীর মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যারা যুক্ত ছিলেন এবং যিনি তাদের দায়িত্ব দিয়েছেন (প্রধান প্রসিকিউটর), তাদের ওই দায়িত্বে থাকা ‘উচিত নয়’ বলে মত দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার মামলার রিভিউ শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রোববার মীর কাসেমের রিভিউ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, রায় প্রকাশ হলে দায়ী প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খোদ আইনমন্ত্রী প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কী ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে, তা আদালত জানেন না।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘মামলা শুরু করার আগেই আদালত আমাকে বলেছেন, আদালত তার রায়ে কয়েকটা কমেন্টস করেছেন প্রসিকিউশনের কয়েকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে। তাদেরকে এখনো কেন সরানো হয়নিÑতা জানতে চেয়েছেন আদালত। আমি আদালতকে বলেছি এটা আমি সরকারের গোচরে আনব।’
কোন প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল তাদের নাম উল্লেখ না করলেও অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মীর কাসেম আলীর মামলায় যেই যেই প্রসিকিউটর মামলা পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং প্রধান প্রসিকিউটর যিনি তাদের দায়িত্ব প্রদান করেছেন এই কয়জনের ব্যাপারেই আদালতের অভিমত প্রকাশ করেছেন, এদের এখানে থাকা উচিত নয়।’
এই মামলায় ট্রাইব্যুনাল দুটির অভিযোগে (১১ ও ১২ নম্বর) মীর কাসেমকে মৃত্যুদ- দিয়েছিলেন। এর মধ্যে আপিল বিভাগ ১২ নম্বর অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মনে করেন, মামলা পরিচালনায় প্রসিকিউশনের দুর্বলতার কারণেই এই অভিযোগ থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমি বলেছি ১২ নম্বর অভিযোগেও মীর কাসেমের মৃতুদ- হতো, যদি প্রসিকিউশন ঠিকমতো মামলাটি পরিচালনা করত।’
তবে আপিল বিভাগ ১১ নম্বর অভিযোগে তার যে মৃত্যুদ- দিয়েছেন সেটি বহাল থাকবে বলে আশা করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘তাদের রায়ের অংশ বিশেষ পড়িয়ে আমি আদালতকে দেখিয়েছি জসিম যে ডালিম হোটেলে বন্দী অবস্থায় ছিল এটা প্রমাণিত। ডালিম হোটেলের সমস্ত কন্ট্রোল মীর কাসেম আলীর ওপরে ছিল এবং সে ওটার হর্তাকর্তা ছিল, এটাও প্রমাণিত। জসিমকে মুমূর্ষু অবস্থায় ছুড়ে ফেলার সময় মীর কাসেমের উপস্থিতির কথা দুই নম্বর সাক্ষী অ্যাডভোকেট শফিউল আলমসহ কয়েকজন সাক্ষী বলেছেন। কাজেই সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাকে যে মৃত্যু প্রদান হয়েছে, এটা সঠিক, আমি আমার বক্তব্যে আদালতকে তা-ই বলেছি। মীর কাসেম আলীর মৃত্যু বহাল থাকবে বলে আমি আশাবাদী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মীর কাসেমের মামলা পরিচালনা করতে ব্যর্থ প্রসিকিউশন-প্রধান বিচারপতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ