Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইতিহাসকে বিকৃতি থেকে রক্ষায় জিয়ার পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে : হানিফ

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সআওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা ও অতীতের ভুল শোধরাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাকে স্বাধীনতা পদক দেয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ভুল চিরদিনই ভুল থাকতে পারে না। আর এ ভুল শোধরাতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আসলাম বেগ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিয়াউর রহমানের কাছে লেখা চিঠিতে বলেছিলেন, তোমার (জিয়াউর রহমান) কর্মকা-ে আমরা (পাকিস্তানিরা) খুশি, তুমি এগিয়ে যাও। নিশ্চয়ই জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছিলেন বলেই তারা খুশি হয়েছিলেন।
হানিফ প্রশ্ন করেন, জিয়াউর রহমান কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বা দেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন? তিনি (জিয়া) মুক্তিযুদ্ধের সময় জাহাজ থেকে পাকিস্তানের অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। আর এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে। আর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে এ হত্যাকা-ের বিচার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকা-ে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান হানিফ। ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বিচার হলেও চক্রান্তকারীদের বিচার হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বিচার হলেও চক্রান্তকারীদের বিচার হয়নি। তদন্ত কমিশন করে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, জিয়ার বীরত্বের কাহিনী কোনো ইতিহাসে নেই। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছিলেন জিয়া। তিনি যে ৭৫-এর হত্যাকা-ে জড়িত ছিলেন, তার একাধিক প্রমাণ আছে। তিনি গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তাঁর স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করায় শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।
আলোচনার শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ৭১-এর ঘাতকেরা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকা-ে মদদ দিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আর পরিকল্পনাকারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ফারুকের জবানবন্দিতেই জিয়ার কথা আছে।
সংগঠনের সহ-সভাপতি আবু হানিফ ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং সেক্টর্স কমান্ডার ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইতিহাসকে বিকৃতি থেকে রক্ষায় জিয়ার পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে : হানিফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ