পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র অবলম্বন। সুষ্ঠু নির্বাচন দল ও মত নির্বিশেষে সবার জন্য দেশপ্রেমের অগ্নিপরীক্ষা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো ঘটনার দায়ই ইসি এড়াতে পারে না। সেজন্যই তো ইসিকে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করতে হয়। গতকাল রাজধানীর নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, চট্টগ্রাম সিটিতে সহিংসতার আশঙ্কা এজন্য করছি কারণ সেখানে দুটি প্রাণহানি ঘটেছে। আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। এর আগে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আমার বার্তা’ শিরোনামে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই অতীব গুরুত্ববহ নির্বাচনে ভোটার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কাজে নিয়োজিত সব অংশীজন প্রত্যেকেই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাতি হিসেবে আমাদের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।
ইসি মাহবুব তালুকদার বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কার্যকালের অবশিষ্ট সময়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার শঙ্কা ও উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে অবাধ নিরপেক্ষ আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়, নির্বাচনের পূর্বশর্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ধারণাও অবান্তর হয়ে যায়। তাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষের ভারসাম্য সৃষ্টি আমাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকা অপরিহার্য, নইলে তা ভন্ডুল হয়ে যাবে।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট হচ্ছে স্বাধীন দেশে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, একটি পবিত্র আমানত। এর মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হয়। নির্বাচন ভূলুণ্ঠিত হলে গণতন্ত্রও ভুলুণ্ঠিত হয়ে যায়। আমরা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি, তার নির্যাস হচ্ছে গণতন্ত্র। ক্ষমতার স্বাভাবিক হস্তান্তর হচ্ছে এর মূল লক্ষ্য। তবে ভোটের মাধ্যমে সত্যিকার জনপ্রতিনিধিগণ যাতে নির্বাচিত হন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি, এই অতীব গুরুত্ববহ নির্বাচনে ভোটার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কাজে নিয়োজিত সব অংশীজন প্রত্যেকেই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাতি হিসেবে আমাদের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখবেন, একই সঙ্গে শান্তিপ‚র্ণভাবে ভোট প্রদানে ব্যাপক অংশগ্রহণ একান্তভাবে কাম্য। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আইনানুগভাবে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। আমরা জনগণের মনে নির্বাচনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করে ও তাদের উদ্বুদ্ধ করে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় সামিল হতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।