পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনে বসতি স্থাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। বারবার নোটিশ দেয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোতে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে তোলা বসতি ছাড়ছেন না কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত ১৪ জানুয়ারি ফের প্রজ্ঞাপন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কোন অ্যাকাডেমিক ভবনে কেউ বসবাস বা রাত্রিযাপন করতে পারবে না।’ এর আগে অ্যাকাডেমিক ভবনে থাকা সকল কর্মকতা-কর্মচারীদেরকে ভবন ছাড়তে গত ২০ সেপ্টেম্বর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নোটিশে সাত দিনের মধ্যে অ্যাকাডেমিক ভবন ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে এখনো বসবাস করতে দেখা গেছে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
জানা গেছে, সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা তাদের এ বসতির জন্য ক্লাস রুমের পরিবেশ নষ্ট হওয়াসহ বিভিন্ন সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়। দীর্ঘদিন ধরে ক্লাসরুমের সামনেই তাদের বসতি স্থাপনের ফলে ব্যাহত হয় স্বাভাবিক ও শৃঙ্খল শিক্ষা কার্যক্রম।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বজলুর রহমান অ্যাকাডেমিক ভবনের অর্থনীতি বিভাগের ক্লাসরুমের সামনে সিঁড়ির নিচে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন ভূগোল বিভাগের সেকশন অফিসার সানভীব আহমেদ বাচ্চু। রসায়ন বিভাগের ক্লাসরুমের পাশে সিঁড়ির নিচে বসতি গড়েছেন সামসুল আলম নামে ইতিহাস বিভাগের আরেক কর্মকর্তা। একই বিভাগের পাশে সিঁড়ি ও ক্লাসরুমের মাঝখানে নিজস্ব বাসা বানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সেকশন অফিসার আবু ইমরান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার জাবেদ আলী খান ও বাংলা বিভাগের সেকশন অফিসার আক্তার হোসেন। এছাড়া ভাষা শহীদ রফিক ভবনের পেছনে দেয়াল ঘেষে ক্যাম্পাসের ড্রেন বন্ধ করে বসবাস করছেন ভিসি দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জামাল হোসেন, শামসুল আলম বকুল ও খোকন নামে তিন কর্মকর্তা।
কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কর্মচারীরাও ঘাঁটি গড়েছেন অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোতে। খোজ নিয়ে জানা যায়, ভূগোল বিভাগের সিঁড়ির নিচে থাকেন বাসচালক মনির। পরিসংখ্যান বিভাগের সিঁড়ির নিচে থাকেন হারুনুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও মো ফারুক। তারা ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের কর্মচারী। বজলুর রহমান ভবনে থাকেন কেয়ারটেকার ইসমাইল হোসেন, অ্যাম্বুলেন্স চালক তাজুল ইসলাম ও বাসচালক খোকন। অন্যদিকে উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সিঁড়ির নিচে থাকেন আব্দুল খালেক, মো. টিপু, মো. আজিজ নামে তিনজন কর্মচারী।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, ক্লাস চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তারা কখনো লুঙ্গি পরে, কখনো দাঁত ব্রাশ করতে করতে অথবা সম্পূর্ণ অগোছালো অবস্থায় রুম থেকে বের হন। এমতাবস্থায় শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। বিশেষ করে নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য এটা আরও অস্বস্তিকর।
এদিকে কর্মকর্তাদের অ্যাকাডেমিক ভবনে বসতি ছাড়তে নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামানের সাক্ষরিত সেই নির্দেশে ৩০ ডিসেম্বর,২০২০ এর মধ্যে তাদেরকে অ্যাকাডেমিক ভবন ছাড়তে বলা হয়। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে তারা সেখানেই বসবাস করছেন।
ভাষা শহীদ রফিক ভবনের পেছনে দেয়াল ঘেষে ক্যাম্পাসের ড্রেন বন্ধ করে বসবাস করা ভিসি দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি এর বাইরে যাবো না। দ্রুতই আমি অন্য যায়গায় চলে যাবো। ভূগোল বিভাগের সানভীব আহমেদ (বাচ্চু) বলেন, আমি এখন ঢাকার বাহিরে আছি, ঢাকায় এসে আমি প্রশাসনের সাথে কথা বলবো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, একাডেমিক ভবন ছাড়তে তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেকে কিছুদিন সময় চেয়ে আবেদন করেছিল। সেটা কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করেছে। তারা যদি বসতি না ছাড়ে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।