পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী করোনার ভ্যাকসিন আগে নিলে অসুবিধা কোথায়? আসলে এই সরকার জনগণের সাথে তামাশা শুরু করেছে। ভারতের ভ্যাকসিন দিয়ে অনেকে মারা গেছে। এ জন্য আমরা বলেছিলাম নিরাপত্তা প্রমাণের জন্য ক্ষমতাসীনদের উচিত আগে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভ্যাকসিন আগে নিয়েছিল এবং ডাক্তার পাউসিও ভ্যাকসিন আগে নিয়েছিল। সুতরাং আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট আগে নিলে অসুবিধা কোথায়? তারা আগে নিলে জনগণের আস্থা বাড়বে এই ভ্যাকসিনের উপর। গতকাল রোববার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মিথ্যার যন্ত্রে পরিণত হয়ে গিয়েছে। বলছেন বিএনপিকে এ ভ্যাকসিন আগে দিবে। এদের উদ্দেশ্য হলো- বিএনপিকে নিধন করা। খুন, গুম দিয়ে বিএনপিকে নিধন করার চেষ্টা করেছিল। এখন ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার জন্য বিএনপিকে আগে দিয়ে নিধন করার চেষ্টা।
এ সরকার মানুষের বাঁচা নিয়ে তিরস্কারও শুরু করেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আরাফাত রহমান কোকো রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন না। তবে রাজনীতি পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। রাজনীতি পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
রিজভী বলেন, ২০১৫ সালের এই সময়ে দেশে গণআন্দোলনের শ্বারুদ্ধকর এক সময়ে দেশের কোটি কোটি মানুষের সমাদৃত নেত্রীকে গুলশানে বালুর বস্তা, কাঠের বেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেস্টটোনি দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সেটা লিখেছিলাম এক বাসা থেকে আরেক বাসায় গিয়ে গিয়ে। তখন হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের উদ্যোগে মাঝে মাঝে ঝটিকা মিছিল দেখতাম। সারাদেশের নেতাকর্মীরা রাস্তায় অবরোধ তৈরি করেছিল। এই মুহূর্তে একজন মা সরকারের নিপীড়ন অত্যাচারের শিকার, গোলমরিচ যার চোখে, সে যদি তার কনিষ্ঠপুত্রের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তখন মায়ের কি অবস্থা হতে পারে সেই বেদনা কি সইবার মত? সেটা ছিল হিমালয় পর্বতের মত ভারি। এটা সেই সময় জনগণ এই উপলব্ধি করেছিল। কোকোর লাশ যখন আনা হয়েছিল একদিকে খুন, গুম, অত্যাচার, নিপীড়ন আর অন্যদিকে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় মানুষের ঢল। এত অত্যাচার, নির্যাতনের মাঝেও মানুষের ঢল দেখে সেদিনই শেখ হাসিনা বার্তা পেয়ে গেছে। আর সেদিন থেকেই বিএনপির উপর অত্যাচার আরো বাড়িয়ে দিয়েছে এবং শেখ হাসিনা আরো অত্যাচারি হয়ে উঠেছে।
রিজভী আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বারবার যিনি স্বৈরাচারের অন্ধকার থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছেন এখনো তিনি অসংখ্য মিথ্যাচার নিপীড়ন সহ্য করেও, আপন শিরদাঁড়ায় সংগ্রাম করছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাদের কনিষ্ঠপুত্র ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকোর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।