পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর। দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেইটের বিপরীতে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ গোয়েন্দা টিম নিয়ে হাজির সেখানে হাজির হন ৩নং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আকরাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আকরামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ আমার চোখ বেঁধে একটি কালো গাড়িতে তোলেন। নিয়ে যান করে দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকা কার্যালয়ে। যে পত্রিকাটির সম্পাদক আমি নিজেই। সেখান থেকে আমাকে নেয়া হয় ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র পুরাতন গুদারাঘাটস্থ দুর্গম চর এলাকায়। দু’চোখ বেঁধে দু হাত পেছনে বেঁধে চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। ‘ক্রসফায়ায়’ দেয়া হবে জানিয়ে আমাকে দোয়া দরুদ পড়তে বলেন। সে নির্যাতনের কথা কোনদিন ভোলার নয়। আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছি। কয়েক মাস হাজত বাস করে জামিনে মুক্তি পাই। গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেই রাতের ঘটনা এমনভাবেই প্রকাশ করলেন সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক। যিনি ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিনের সম্পাদক।
সাংবাদিক রফিক বলেন, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে ময়মনসিংহে কর্মরত এসআই আকরামের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, যৌনপল্লীতে নারী পাচার, সন্ত্রাসীদের অপরাধ কার্যক্রমে সহযোগিতার অভিযোগ ছিলো। সে সময়ে এসআই আকরামের এইসব অপরাধের চিত্র নিজের সম্পাদনাকৃত পত্রিকায় তুলে ধরেন তিনি। দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিনে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের ধারাবাহিকতায় শহরের চরপাড়ায় মাদক কারবারিদের সাথে এসআই আকরাম হোসেনের ঘনিষ্টতা বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সময় এসআই আকরাম হোসেন কর্মরত ছিলেন ৩নং ফাঁড়ি পুলিশে।
এসআই আকরামের হাতে নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন রফিক। তিনি বলেন, নির্যাতনে আমি আজো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারিনা। দুই বছর পরে বিষয়টি কেন সামনে এনেছেন এমন প্রশ্নে সাংবাদিক রফিক জানান, তিনি ঘটনাটি চক্ষু লজ্জার কারনে সামনে আনতে পারেননি এতদিন। আমি বিচার চাই। গত বছরের ডিসেম্বরে অজ্ঞাত ব্যক্তি আকরামের হয়ে তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় তার (রফিকের) চোখ বাধা উলঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করার হুমকি দেয়। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ২২ তারিখে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার ম্যাসেঞ্জারে চোঁখ বাঁধা ছবি প্রদান করেন। যা দেখে তিনি আতঁকে উঠেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।