Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেঘলা আবহাওয়া ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া জোরাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

আংশিক মেঘলা আবহাওয়া, ঘন কুয়াশার সাথে হিমালয় ছুঁয়ে আসা উত্তর-পশ্চিমা হিমেল কনকনে হাওয়া জোরালো হয়েছে। রাতের তাপমাত্রার সাথে দিনের বেলায় পারদও হ্রাস পেয়েছে। রাত-দিনের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গিয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গতকাল শনিবার সিরাজগঞ্জে দিনের পারদ নেমেছে ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এতে করে উত্তর, পশ্চিম, দক্ষিণাঞ্চল ও পাহাড়ি জনপদসহ দেশের অনেক জেলায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং উত্তরের হিমেল হাওয়ার তীব্রতা আরও দু’তিন দিন অব্যাহত থাকার আভাস রয়েছে। পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বইছে ঠান্ডা বাতাস।
গতকাল শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় রাতের পারদ নামে ৯.৩, রাঙ্গামাটিতে ১০, ঢাকায় ১৩ ডিগ্রিতে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুতুবদিয়ায় ২৭.৩, ঢাকার সর্বোচ্চ পারদ ২২ ডিগ্রি সে.।

এদিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের অনেক জেলায় দিনের বেলায় তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হ্রাস পেয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন, বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য, ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে রাতের তাপমাত্রার পাশাপাশি দিনের বেলায়ও পারদ নিচে নেমে গেছে। এরমধ্যে- সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশে দিনের তাপমাত্রা ১৬.৮ (রাতে ১২), বগুড়া ও ঈশ^রদীতে ১৭.৫, কুষ্টিয়ায় ১৭.৮, রাজশাহীতে ১৮.৭ (রাতে ১০.৬), কিশোরগঞ্জে ১৯.৮ ডিগ্রি সে.।

আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পুর্বাভাসে জানা গেছে, সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাঙ্গামাটি, শ্রীমঙ্গল, পঞ্চগড় অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশে আবহাওয়া থাকবে প্রধানত শুষ্ক। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ায় কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

লালপুরে বিপর্যস্ত জনজীবন
লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান : হাড়কাপানো শীত ও ঘনকুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম নাটোরের লালপুরে জনজীবন। গত শনিবার দুপুরেও দেখা মেলেনি সূর্যের। মাঘের শুরু থেকে হারকাপানো তীব্র শীতে থমকে গেছে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। বিপাকে পড়েছে দিনমুজুর ও ছিন্নমূল মানুষেরা। সব চেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গত এক সপ্তাহে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে শীতজনিত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।

সকাল থেকে ঘনকুয়াশার করনে রাস্তা গুলি ছিলো ফাঁকা। মহাসড়ক গুলোতে দুই একটা যানবাহন চললেও ধীর গতিতে হেডলাইট চালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীত নিবারণের জন্য অনেককে আগুন জ্বালাতে দেখা দেছে। গত কয়েকদিন যাবত এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ সঙ্গে হিম বাতাস। দুুপুরের পর থেকে শীতের তীব্রতা আরো বড়ছে সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হীম শীতল বাতাস। লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ২৫০০ পিস কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেঘলা আবহাওয়া
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ