পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গৃহায়ণ ও গণপুর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় গরীব অসহায় মানুষদের নিয়ে ভাবতেন এবং তাদের নিয়ে কাজ করতেন। গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান কার্যক্রম তারই শুরু করা।’ মুজিবশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এসব ঘর ও জমি দেওয়া হচ্ছে। এক সঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে ঘর করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বে অনন্য নজির সৃষ্টি করলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ময়মনসিংহের ফুলপুরে গৃহহীন ও ভূমিহীন ৯৭ পরিবারের মাঝে শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর ও ভূমি হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধনের পর ফুলপুরে ৯৭ টি পরিবারের মাঝে ঘর ও জমির মালিকানা হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপুর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি উপকারভোগী কুলসুম, জমেলা ও সীতেশ ক্ষত্রিসহ অন্যদের নির্মিত ঘরের চাবি, জমির দলিল, নামজারী খতিয়ান, ডিসিআর এর কপি এবং ঘর প্রদানের সনদ সমন্বয়ে সজ্জিত ফোল্ডার হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও উপকারভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ।স্বপ্নের ঠিকানায় স্বপ্নের নীড় পেয়ে উল্লাসিত ও আনন্দিত আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত হতদরিদ্র অসহায় পরিবারগুলো।এই প্রকল্পের ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, প্রবীণ ভূমিহীন ব্যক্তিদের উপকারভোগী হিসেবে বাছাই করা হয়েছে।একটি ঘর শুধু একটি আশ্রয়স্থল নয়, যার কিছুই ছিল না এই ঘরটি তার জন্য আত্মমর্যাদার। ৯৭ টি গৃহহীন সদস্য পেল আশ্রয়স্থল। ফলে ওই পরিবার হয়ে উঠবেন আত্নপ্রত্যয়ী এবং খুঁজে পাবেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অবলম্বন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভূমিহীন, গৃহহীনদের তালিকা তৈরি করে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩ পরিবারকে সরকার জমি ও ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে। আর এ উদ্যোগটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি প্রকল্প’, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প’ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘আশ্রয়ন প্রকল্প-২’ নামে তিনটি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি পরিবারের জন্য ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে সেমিপাকা বাড়ি। প্রতিটি বাড়িতে থাকছে দুটি শোবার ঘর, একটা রান্নাঘর, একটা ইউটিলিটি রুম, একটি করে বারান্দা ও টয়লেট। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি ছাড়াও প্রতিটি ঘরে থাকবে ভূমিকম্পরোধক ব্যবস্থা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।