পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে লেনদেন শেষে প্রায় সবকটি বীমা কোম্পানির নামের পাশে ‘লাল’ চিহ্ন পড়েছে। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস বীমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামে ধস নামল। বীমা কোম্পানির শেয়ারের দামে ধস নামের মধ্যে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। যার ওপর ভর করে দিনের লেনদেন শেষে ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে সূচক। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক বীমা কোম্পানির শেয়ারের দাম কমতে থাকে। যা দিনের লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৪২টি বীমা কোম্পানি। বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র ৪টির। এমনকি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সর্বোচ্চ দাম কমা ২০টি স্থানই দখল করেছে বীমা খাতের কোম্পানি।
বীমা খাতের শেয়ারের দামে ধসের দিনে মাত্র ২টি ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ২২টির। আর আর্থিক খাতের ১৫টির শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং ২টির দাম কমেছে। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের এমন দাপট দেখানোয় দিনর লেনদেন শেষে ডিএসইতে সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকর মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্য সূচকের উত্থান হলেও ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৩২টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৩টির। আর ৮৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৪১৬ কোটি ৪ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ২০২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে রবির শেয়ার। কোম্পানিটির ২৮১ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১৯০ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৫টির এবং ৫৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।