Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিমসহ নিহত ৩

নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযান

প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৭ পিএম, ২৭ আগস্ট, ২০১৬

মো. হাফিজুর রহমান মিন্টু, নারায়ণগঞ্জ থেকে : নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিম চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। শহরের পাইকপাড়ার নুরুদ্দিন মিয়ার তিনতলা বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে বাড়িটি ঘিরে ফেলে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভবনে অভিযান চালাতে গেলে গোলাগুলি শুরু হয়। ‘অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭’ নামের এক ঘণ্টার সেই অভিযানে তামিমসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার তিনতলা ওই ভবনের তৃতীয় তলাতেই জঙ্গিরা অবস্থান নেয়। সকালে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে জঙ্গি সদস্যরা তাদের সব ডকুমেন্ট ও আলামত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ডিএমপি, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ও র‌্যাবের সহযোগিতায় অপারেশন শুরু করে। এক ঘণ্টার সেই অপারেশনে তামিমসহ তিনজন নিহত হয়। নিহত অপর দু’জন হলো মানিক (৩৫) ও ইকবাল (২৫)। এর মধ্যে একজনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে এ কে ২২ রাইফেল, পিস্তল ও গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর পাইকপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করাসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, অপারেশনের আগে জঙ্গিদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। তারা সেই সুযোগ না নিয়ে পুলিশের ওপর গুলি ও গ্রেনেড হামলা চালায়। এই ঘটনার পর পুলিশ ওই বাড়ির মালিক, স্ত্রী ও পুত্রকে আটক করেছে। নিহতদের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যেভাবে অভিযান চালানো হয়
পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হওয়া এক জঙ্গির তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জে অপারেশন ‘হিট স্ট্রং ২৭’ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এমন কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার কবরস্থানের তিনতলা বাড়িটিতে ‘অপারেশন : হিট স্ট্রং ২৭’ পরিচালনার ছক তৈরি করা হয়। জঙ্গিরা যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য আগে থেকেই ঘটনাস্থলের চারপাশ ঘিরে রাখেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ পুলিশের অন্য টিমের সদস্যরা। আইজিপির নির্দেশনা অনুযায়ী জঙ্গিদের প্রথমে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হলেও তারা সেই সুযোগ নেয়নি। উপরন্তু তারা পুলিশকে লক্ষ করে একের পর এক গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। একইসঙ্গে এ কে ২২ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে থাকে। এরপর পুলিশও পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান শুরু করে। অভিযানে থাকা সোয়াত টিমের সদস্যরা অন্যান্য অস্ত্রের সঙ্গে স্নাইপার রাইফেলও ব্যবহার করেন। অভিযানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, স্নাইপার রাইফেল দিয়ে টেলিস্কোপের সাহায্যে নির্ভুলভাবে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে গুলি করা সম্ভব হয়। এই রাইফেল দিয়ে দ্রুত শক্তিশালী বুলেট ছোড়া যায়। ছবিও তোলা যায় স্নাইপার রাইফেলের টেলিস্কোপ দিয়ে। অভিযান শুরুর পর ঘটনাস্থলে যান পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই সুযোগ না নিয়ে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা ও গুলি করে। পরে পুলিশ নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে গুলি করে জঙ্গিদের। এতে তিন জঙ্গি নিহত হয়।
ওষুধ ব্যবসার কথা বলে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা
নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার নুরুদ্দিন মিয়ার বাড়িটিতে এক মাস ধরে অবস্থান করছিল তামিম চৌধুরীসহ নিহত তিন ‘জঙ্গি’। তারা বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল ওষুধ ব্যবসার কথা বলে। ‘অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭’-এ গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই পুলিশ তামিম চৌধুরীকে খুঁজছিল। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল তামিম নারায়ণগঞ্জে আছেন। ঈদের (ঈদুল ফিতর) পর প্রায় এক মাস ধরেই সম্ভবত তারা নারায়ণগঞ্জে ছিলেন। ওষুধ ব্যবসার কথা বলে তারা সেখানে ছিলেন।
চেহারা পাল্টায়নি জঙ্গি তামিম
গুলশান ও শোলাকিয়াসহ বিভিন্ন জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত তামিম আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত চেহারায় কোনো পরিবর্তন আনেনি। এ পর্যন্ত গণমাধ্যমে পুলিশের পক্ষ থেকে তার মুখাবয়বের যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে তাতে তার মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি দেখা যায়। সেসময় পুলিশের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হয়েছিল দাড়ি কেটে বা গোঁফ রেখে চেহারার পরিবর্তন এনে লুকিয়ে থাকতে পারে সে। তবে তামিম আত্মগোপনে থাকলেও নিজের চেহারায় কোনো পরিবর্তন আনেনি।
অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭-এ নিহত হওয়ার পর তার মরদেহের যে ছবিটি পুলিশ প্রকাশ করেছে তাতে তামিম চৌধুরীর চেহারায় কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। আগের মতোই তার মুখে ফ্রেঞ্চ কাট দাড়িই রয়েছে। পরনে ছিল বেল্টসহ গ্যাভার্ডিন প্যান্ট ও নেভি ব্লু টি-শার্ট।
কে এই তামিম চৌধুরী
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরী গুলশান এবং শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড বলে পুলিশ দাবি করেছে। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে জেএমবির যে ভগ্নাংশটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী হয়ে জঙ্গি কর্মকা- চালাচ্ছে সে অংশের শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরী। কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলেও পুলিশের ধারণা। পুলিশ জানায়, বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী দেশে ফিরে আত্মগোপন করে জঙ্গি কর্মকা-ে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারেও এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল নারায়ণগঞ্জের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘তামিম চৌধুরী সিরিয়ায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আরও কয়েকজনের সঙ্গে তামিম চৌধুরীই দেশীয় জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় তামিম চৌধুরীর যাতায়াতের বিষয়টি গ্রেফতারকৃত জঙ্গি রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান পুলিশকে জানিয়েছিল।
ওই সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, তামিম চৌধুরী বর্তমানে জেএমবির একাংশের নেতৃত্বদানকারীদের একজন। সে দেশেই আত্মগোপন করে রয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা বলা হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান জানিয়েছে, কল্যাণপুরে তাদের জঙ্গি আস্তানায় তামিম চৌধুরী, রিপন, খালিদ, মামুন, মানিক, জোনায়েদ খান, বাদল ও আজাদুল ওরফে কবিরাজ নামে ব্যক্তিরা নিয়মিত যাতায়াত করত। তারা তাদের ধর্মীয় ও জিহাদি কথাবার্তা বলে উদ্বুদ্ধ করত। প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা দিয়ে যেত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে রাকিবুল হাসান জানিয়েছিলেন, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ও সমর্থনপুষ্ট অন্যান্য সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থক তাদের এ কাজে অর্থ, অস্ত্র, গোলা-বারুদ, বিস্ফোরক দেওয়াসহ প্রশিক্ষণ ও পরামর্শের মাধ্যমে সহায়তা ও প্ররোচনা দিত। মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, জঙ্গিদের উদ্বুদ্ধ ও অর্থদাতাদের মধ্যে কিছু লোককে তারা শনাক্ত করেছেন। গ্রেফতারকৃত হাসানের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে আগের গোয়েন্দা তথ্যের কিছু মিল পাওয়া গেছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা ওই সময় জানিয়েছিলেন, রাকিবুল হাসানের দেওয়া নামগুলোর মধ্যে তামিম চৌধুরী ও জোনায়েদ খান ছাড়া অন্য নামগুলো জঙ্গি নেতাদের ছদ্মনাম বলে মনে হয়েছে। কারণ জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম-পরিচয়ে তাদের কার্যক্রম চালায়। যেন স্লিপার সেলের সদস্যরা কখনও গ্রেফতার হলে শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে না পারে। তারপরও শারীরিক বর্ণনা শুনে ও আগে থাকা গোয়েন্দা তথ্য মিলিয়ে তাদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে।
বাড়িওয়ালাসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক
নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার একটি জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭ অভিযানে তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হওয়ার পর ওই আস্তানার তথ্য সংগ্রহে নেমেছে পুলিশ। এরই মধ্যে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াসহ ওই বাড়ির ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন। শনিবার বিকালে তাদের আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, আটককৃতদের মধ্যে বাড়ির মালিক নুরুদ্দীন দেওয়ানসহ তার পরিবারের ৫ জন সদস্য এবং বাকিরা ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কোনও তথ্য পাওয়া গেলে পরে তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
এদিকে ওই অভিযান শেষে বাড়িটির মালিক নুরুদ্দীন দেওয়ানকে আটক করে পুলিশ। তবে এর আগে নুরুদ্দিন দেওয়ান জানান, জুলাই মাসে জঙ্গিরা মুরাদ ও রানা নামে বাসাটি ভাড়া নেয়। তারা নিজেদের পরিচয় দেয় ওষুধ কোম্পানির চাকরিজীবী হিসেবে। বাড়িওয়ালা বলেন, ‘ভাড়া দেওয়ার পর আমি একাধিকবার ওই বাসায় গেছি। গিয়ে দেখেছি, তারা কেউ রান্না করছে, কেউ শুয়ে আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত দেড় মাসে তাদের সন্দেহজনক কিছু আমার চোখে পড়েনি।’ এদিকে নিহত জঙ্গিদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তামিমের লাশ গ্রহণ করবে না গ্রামবাসী
এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল, বিয়ানীবাজার থেকে : সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড় গ্রামের বাসিন্দারা নিহত জঙ্গি তামিম আহমেদ চৌধুরীর লাশ গ্রহণ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। শনিবার বিশেষ অভিযানে তামিম মারা যাওয়ার পর এ কথা জানান বিয়ানীবাজার বড় গ্রামের বাসিন্দা দুবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া আহমদসহ আরো অনেকে। তারা জানান, ‘টিভিতে সংবাদ দেখে তারা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছেন। তবে এ ঘটনার পর কাউকে এ নিয়ে আক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। এলাকার মানুষ পেরেশান না। তার লাশ আনতেও গ্রাম থেকে কেউ যাবে না।’
স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুস সালামও তামিমের চাচাতো ভাই ফাহিম আহমদ চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানান, তামিমরা এলাকায় আসতো না। তারা কানাডার স্থায়িভাবে বসবাস করতো। দেশে এলে ফেঞ্চুগঞ্জে নানার বাড়িতে থাকতো। সর্বশেষ তারা কবে দেশে আসছিল তাও তারা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। তামিমের মৃত্যুতে তাদের মধ্যে কোনো হতাশার ছাপ লক্ষ্য করা যায়নি। এদিকে তামিমের চাচা নূরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ভাতিজার মৃত্যুর বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান। এমনকি তার বাবার পরিবারের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তামিম দেশে কোথায় অবস্থান করতো-সে বিষয়েও তারা অবহিত ছিলেন না।
ভারত সীমান্তঘেঁষা তামিমদের গ্রামের বাড়ি দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামে। বিয়ানীবাজার থেকে ওই গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

Show all comments
  • কাওসার ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১:৩৮ পিএম says : 0
    বাকীদের গ্রেফতার করা হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • শিমুল খান ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ৩:১২ পিএম says : 0
    যেই বাড়িতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে সেই বাড়ির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ান নারায়ণগঞ্জ, তিনি নাকি মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক কামাল দেওয়ানের বড় ভাই?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিমসহ নিহত ৩
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->