পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, সামরিক-বেসামরিক, আমলাতন্ত্র ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রভাবশালী পর্যায়ে জঙ্গিবাদের সমর্থক রয়েছে। একদিকে সরাসরি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, অন্যদিকে যারা এটা প্রতিরোধ করতে পারতো তাদের মধ্যে আপোষকামিতা ঢুকে গেছে।
কারণ, ক্ষমতায় থাকা এবং যাওয়া তাদের কাছে অনেক বড় একটা বিষয়। রাজনীতির চরিত্র সেটা দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রন্ধ্রে, রন্ধ্রে বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিবাদ সমর্থক কিংবা জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আছে, সেই মানুষগুলো বসে আছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর এশিয়াটিক সোসাইটির মিলনায়তনে যুব ইউনিয়নের জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় যুব কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, আমাদের আমলাতন্ত্রে আছে, সামরিক বাহিনীতে আছে, আমাদের আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীতে আছে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে আছে। অন্যান্য সমস্ত কিছু যারা নিয়ন্ত্রণ করে সব জায়গাতে আছে। অত্যন্ত প্রভাবশালী, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসে আছে। এটা যদি আমরা না বোঝার চেষ্টা করি, তাহলে আমাদের লড়াইয়ের কৌশলে ব্যর্থতার পরিচয় দিতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, যারা ’৭৫-এর বেনিফিশিয়ারি তারা সবাই ছিল পাকিস্তানের মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষিত। জঙ্গিবাদের অত্যন্ত প্রকট, উৎকট, নৃশংস রূপ আমরা দেখছি। জঙ্গিবাদের ধারা সেই সময় থেকে বাংলাদেশে ধীরে ধীরে সমস্ত কিছুর মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছে। সুলতানা কামাল বলেন, আজকে হোলি আর্টিজানের কথা বলছি। প্রচ-ভাবে নাড়া খেয়েছি আমরা। আমরা কি নাড়া খেয়েছি যখন অভিজিৎকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে? আমরা কি নাড়া খাইনি যখন রাজীবকে হত্যা করা হয়েছে? দীপনকে হত্যা করা হয়েছে। যদি নাড়া না খেয়ে থাকি, কেন খাইনি? কেন তখন আমাদেরকে এইভাবে বিচলিত করেনি? কারণ, ভিতরে ভিতরে এই হত্যাকা- ঘটার পরিবেশটাকে তৈরি করে নেয়া হয়েছে। চিহ্নিত তিন জঙ্গির বিচার শুরু না হওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। তিনজন অত্যন্ত নিকৃষ্ট ধরনের জঙ্গির বিচার শুরু করা যায়নি। এক মন্ত্রণালয় আরেক মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি (সিপিবি) মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বললে যাবজ্জীবনÑ এই ব্লাসফেমি আইন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। ধর্মের মত ইতিহাস নিয়ে ব্লাসফেমি আইন করা যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাদেকা হালিম বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার বইতে সূরার অনুবাদে আছে, অমুসলিমরা যদি যুদ্ধ করতে আসে, তাদের বুক চিড়ে কলিজা বের করে আনতে হবে। শিশুদের এই শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। আমরা আসলেই অসাম্প্রদায়িক কীনা সেটা প্রশ্ন তুলতে হবে। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক এম এম আকাশ, ঐক্য ন্যাপের আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, যুব ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।