পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এরশাদ
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য সংসদে সংরক্ষিত ৩০টি আসন দাবি করে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, বর্তমান প্রশাসনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ জন সচিব এবং ১৮ জন এসপি রয়েছেন। এরা আমার শাসনামলে নিয়োগপ্রাপ্ত। আমার মন সংকীর্ণ নয়, আমি ধর্মকে বিবেচনা করিনি। আমি মেধার বিচার করেছি। আমাদের সময় মোট জনসংখ্যার ২০ ভাগ হিন্দু ছিল। এখন তা ৯ ভাগে পৌঁছেছে, যা দুঃখজনক। গতকাল জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বনানীর কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, সংখ্যালঘু বিষয়ক উপদেষ্টা সোমনাথ দে, হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অল ইন্ডিয়া রিফুজি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. অনির্বাণ হালদার, বিমল চক্রবর্তী, কপিল কৃঞ্চ ম-ল, বিরেন্দ্র নাধ মিত্র, অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, হিমাদ্রী শেখর রায়, ভক্তি স্বরূপ পদ্মনাথ, কান্তি বন্দু ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ বলেন, জাতীয় সংসদে মহিলাদের সংরক্ষিত ৫০টি আসনের পাশাপাশি সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য ৩০ আসন দিতে হবে। পাশাপাশি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও হিন্দুদের জন্য কোটা ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ জন আজ সচিব এবং ১৮ জন এসপি আছেন। এরা আমার শাসনামলে নিয়োগপ্রাপ্ত। আমি মেধার বিচার করেছি। আমাদের সময় মোট জনসংখ্যার ২০ ভাগ হিন্দু ছিল। এখন তা ৯ ভাগে পৌঁছেছে, যা দুঃখজনক। তিনি বলেন, জাপার আমলে কোনো হিন্দু অত্যাচারিত হয়নি। পুরোহিত খুন হয়নি। হিন্দুদের সম্পত্তি দখল হয়নি। এদেশ ছেড়ে ভারত চলে যেতে হয়নি। নব্বইয়ের পর থেকেই এদেশে হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বড় দুটি দল ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের জমি দখল করার অপচেষ্টা করে। তারা আমার দেশের নাগরিক, তারা আমার ভাই। স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবনবাজি রেখে অগণিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক যুদ্ধ করে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে।
সংখ্যালঘুদের সহযোগিতা কামনা করে এরশাদ বলেন, গ্রামে যেখানে গরুর গাড়ি চলত সেখানে আজ প্রাইভেট কার চলছে। উপজেলা করে উন্নয়নকে গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। দশ হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা করেছি, ৫০৮টি ব্রিজ করেছি। আমি নিশ্চিত ছিলাম যেহেতু জনগণের জন্য আমি এত কিছু করেছি জনগণ আমাকে আবারও নির্বাচিত করবে। তাই নব্বইতে আমি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা (বিএনপি) আমার সাথে বেঈমানি করে আমাকে সাড়ে ছয় বছর জেলে ভরে রাখল। ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমি মরিনি, আমি ভালো আছি, বরং যারা আমাকে মারতে চেয়েছিল তারা ভালো নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।