পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আগের দিন তালিকাভুক্ত ৪৯টি বীমা কোম্পানির মধ্যে ৪৫টির শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করলেও গতকাল বুধবার দেখা গেলে ভিন্ন চিত্র। এদিন মূলত বীমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দামে একপ্রকার ধস নামে। বীমা কোম্পানির শেয়ার দামে ধস নামলেও ব্যাংক কোম্পানিগুলো দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে। এতে দিনের লেনদেন শেষে পতন কাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে সূচক।
এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর বীমা কোম্পানির শেয়ার দাম কমতে থাকে। যা দিনের লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩১টি বীমা কোম্পানি। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১৩টির। বীমা খাতের পতনের দিনে ২৫টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে মাত্র তিনটির। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক এমন দাপট দেখানোয় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮২৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্য সূচকের উত্থান হলেও ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১২১টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৯টির। আর ৭৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অবশ্য প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪১৬ কোটি চার লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল এক হাজার ২৯০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১২৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ১৩২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির এবং ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।