Inqilab Logo

শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বার্ড ফ্লু রোধে তিন মাস রেড অ্যালার্ট চায় বিপিআইসিসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

ভারতে সংক্রমণ ছড়ানো বার্ড ফ্লু থেকে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচাতে ৩ মাসের রেড অ্যালার্ট জারি চায়, এই খাতের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিপিআইসিসি। যদিও এখন পর্যন্ত দেশে নতুন করে বার্ড ফ্লু ধরা পড়েনি। আর ভারতের আক্রান্ত রাজ্যগুলো থেকেও বাংলাদেশের অবস্থান যথেষ্ট দূরে। কিন্তু যে কোনও সময় সংক্রমিত অতিথি পাখির মাধ্যমে তা ছড়াতে পারে দেশে। তাই খামার ব্যবস্থাপনায় এখনই সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

বার্ড ফ্লু পাখিদের একধরনের জ্বর। এই জ্বরের জন্য দায়ী যে ভাইরাস, তার নাম এইচ৫এন১। জলজ বন্য কিংবা পরিযায়ী পাখির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে খামারের হাস মুরগীর মধ্যেও।

মৌসুম শুরু হওয়ায়, প্রতিবেশি দেশ ভারতে বার্ড ফ্লুর প্রকোপ চলছে। এই ভাইরাস ছড়িয়েছে কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচাল, হরিয়ানা, গুজরাট, মাহারাষ্ট্র দিল্লি সহ ১১টি প্রদেশে। ভারতের সংক্রমণ থেকে বাংলাদেশ এখনো মুক্ত হলেও স্বস্তিতে থাকা যাবে কতক্ষণ?

বিপিআইসিসি প্রেসিডেন্ট মশিউর রহমান বলেন, এটা আসতে বেশি সময় লাগে না। এটা উড়ে চলে আসে। প্রতিটি জেলায় লাইবস্টক অফিস আছে। তারা যদি মনে করে রেডএ্যালার্ম জারি করা উচিত তবে তাই করা উচিত। অন্তত আগামী তিনটা মাস। ভ্যাকসিনের এ্যাভিলিবিলিটি আরও বাড়াতে হবে। দেখা গেছে ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাবার পর একটা বড় গ্যাপ তৈরী হয়, এই গ্যাপের কারণেও কিন্তু এই রোগের বিস্তার কিন্তু আবার শুরু হয়ে যায়।

টিকার ব্যাপারে উদাসিন থাকলেও কয়েকটি সতর্কতামুলক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে ভারত থেকে মুরগি, মুরগির বাচ্চা ও ডিম, হাঁস এবং পাখি জাতীয় প্রাণির আমদানি। তবে আরো কিছু সতর্কতার দরকার রয়েছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক বেগ বলেন, আমরা করোনা প্রতিরোধের জন্য যা যা করি, এখানেও কিন্তু অনুরুপ কাজ করতে হবে। এটাও কিন্তু একটা ভাইরাস। এটাও প্রাণঘাতি। খামার শ্রমিক, খামারের খাদ্য, যন্ত্রপাতি, যানবাহন এগুলো যখন খামারে ঢুকবে তখনই এগুলোকে স্প্রে করে জীবানুমুক্ত করতে হবে। আমাদের প্রচুর অতিথী পাখি আসে। এই অতিথী পাখির সংস্টর্শে মানুষ, গৃহপালিত পুশ-পাখি অবাধে মিশে যায়। সেটা তারা লোকালয়ে নিয়ে আসে এবং পার্শ্ববতী খামারে ছড়িয়ে দেয়ার সম্ভবনা থাকে। আমাদেরকে স্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। এতে অতিথী পাখিরাও নিরাপদে থাকতে পারবে।
খামারের হাস-মুরগীতে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়ালে নানা উপায়ে তা মানুষকেও আক্রান্ত করতে পারে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ও চেয়ারম্যান ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম বলেন, যে সকল পেশাজীবিরা খামারের সংস্পর্শে থাকে তাদের এ রোগটা হবার সম্ভবনা বেশি থাকে। জনবহুল স্থানে লাইববার্ড থাকা উচিত না। কাঁচা ডিম বা হাফ বয়েল ডিম খাওয়া যাবে না, খেতে হলে হার্ড বয়েল ডিম খেতে হবে। হাফ বয়েল মাংস কখনই খাওয়া যাবে না।

খামারে পালন করা হাস-মুরগীকে ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখতে সতর্ক থাকার বিকল্প নেই বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিপিআইসিসি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ