পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ইসলামিক বিজ্ঞজনদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ইসলাম ধর্মে সন্ত্রাসবাদের কোন জায়গা নেই। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আলেম সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জুমার নামাজের খুৎবার সময় মসজিদের ইমামদের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা দেশ ও জাতির বৃহত্তম স্বার্থে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে সাহায্য করে যাচ্ছেন। যেকোন বিষয় আপনারা যেভাবে বুঝাতে পারবেন, অন্য কেউ আপনাদের মত করে বুঝাতে পারবে না। সবাই আপনাদের শ্রদ্ধা করে।
গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁওস্থ শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে সহিংসতা ও চরমপস্থা প্রতিরোধে ইসলামিক বিজ্ঞজনদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজধানীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম। সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভরনর্স এর সদস্য মুফতি রুহুল আমিন। এছাড়া সেমিনারে অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলন ইসলামিক বিজ্ঞজন আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মাদরাসার শিক্ষক।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তাই, সমাজে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা সঠিক ভাবে তুলে ধরে তরুণ ও যুব সমাজকে সচেতন করতে ইমাম ও আলেমদেরকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সাথে মাদক, বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা,ধর্ষণসহ নানা ধরনের সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে আলেম সমাজকে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে না। তিনি বলেছেন, শুধু আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগ করে জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে না। হার্ড অ্যাপ্রোচ এর পাশাপাশি সফট অ্যাপ্রোচও প্রয়োগ করতে হবে। সমাজে এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে যারই অংশ হিসেবে আজকের এই সেমিনার। জঙ্গিবাদ দমনে আলেম, ওলামা, ইমামদের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। জাতিকে বিভ্রান্ত না করে সঠিক পথ দেখানোর মূখ্য দায়িত্ব আপনাদের পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, সমাজের কতিপয় দুস্কৃতিকারী লোক নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে, ধর্মকে ব্যবহার করে এই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাকে চালিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু তাদের এই কর্মকান্ডের ফলে মূল ক্ষতি হচ্ছে ইসলাম ধর্মের। যার মধ্যে ইসলাম ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা রয়েছে সে কখনো জঙ্গিবাদের মত নিকৃষ্ট কাজে জড়াতে পারে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।