Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্যাস বিল বকেয়া ৯ হাজার ১৯ কোটি চার লাখ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

দেশের ছয়টি বিতরণ কোম্পানির বকেয়া গ্যাস বিলের পরিমাণ ৯ হাজার ১৯ কোটি চার লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। দেশে বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট জানান তিনি।

গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। সরকারি দলের সদস্য আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী সব চেয়ে বেশি গ্যাস বিল বকেয়া তিতাসের। তাদের বকেয়া বিলের পরিমাণ ছয় হাজার ৬৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির ৬৯৬ কোটি ৮১ লাখ, কর্ণফুলীর ৮৪৪ কোটি ৯৫ লাখ, জালালাবাদের ৪৮৩ কোটি ৩২ লাখ, পঞ্চিমাঞ্চলের ১৯৫ কোটি ১৯ লাখ এবং সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী গত ১০ বছরে তিতাস গ্যাসের সিস্টেম লসের তথ্য তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সিস্টেম লস প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এলেও এখন বাড়ছে। গত ১০ বছরের মধ্যে সব চেয়ে বেশি সিস্টেম লস হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে। ওই অর্থ বছরে তিতাসের ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ সিস্টেম লস হয়। এছাড়া ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ, ২০১০-১১ অর্থ বছরে এক দশমিক ৮২ শতাংশ, ২০১১-১২ অর্থ বছরে এক দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে শূন্য দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে তিন দশমিক ৮৯ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুই দশমিক ৮১ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এক দশমিক ৩৫ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এক দশমিক ১৭ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পাঁচ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরে দুই শতাংশ সিস্টেম লস হয়েছে।

সরকারী দলের সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট, ক্যাপটিভ ২৮০০ মেগাওয়াট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৩৮২ মেগাওয়াট। তিনি আরো জানান, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা বিবেচনা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং যথাসময়ে সেগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১৪ হাজার ৩৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২১ হতে ২০২৬ সালের মধ্যে চালু হবে। মোট ২ হাজার ৮৯৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২১ হতে ২০২৬ সালের মধ্যে চালু হবে। আর ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২২ হতে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া ১৫ হাজার ১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে, যা আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে চালু হবে। এছাড়া ভারত ও নেপাল হতে এক হাজার ৯৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০২২ হতে ২০২৬ সালের মধ্যে শুরু হবে।



 

Show all comments
  • শান্তা ২০ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫৪ এএম says : 0
    দ্রুত সময়ের মধ্যে বকেয়া গ্যাস বিল উত্তোলন করা হোক
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্যাস বিল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ