পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের এদিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তার এই আত্মত্যাগ স্বৈরশাসনবিরোধী চলমান আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।
বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এটি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
ঢাকার রাজপথ উত্তাল। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে বাঙালি ছাত্রদের ১১ দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে জীবন দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। আরো বেগবান হয়ে উঠে জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে রাজপথের আন্দোলন। আসাদ শহীদ হওয়ার পর তিন দিনের শোক পালন শেষে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ৬ দফা ও ছাত্র সমাজ ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথে। সংঘটিত হয় উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান। পতন ঘটে আইয়ুব খানের। আরেক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় বসলেও সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন।
’৭০ সালের সেই অভূতপূর্ব নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু জুলফিক্কার আলী ভূট্টোর ইন্দনে ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা না ছাড়াতে নানা টালবাহানা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ’৭১ সালে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের নতুন দেশের অভ্যুদ্বয় ঘটে।
শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলোও নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ছাত্র সংগঠনগুলো আজ আসাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।