পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসবে হোয়াইট ডায়মন্ড। আর এজন্য অপেক্ষা মাত্র সপ্তাহখানেক। এর পরই হোয়াইট ডায়মন্ড-খ্যাত কুমিল্লা অঞ্চলের আলু তোলার মহোৎসবে মেতে উঠবেন চাষীরা। কুমিল্লায় গত বছর রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছিল। সে ধারাবহিকতায় এ বছরও ভাল ফলন পাওয়ার প্রত্যাশা আলু চাষীদের।
আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা। আর এ আশায় কৃষকরা বেশ মনোযোগের সাথেই আলুক্ষেত পরিচর্যায় শ্রম দিচ্ছেন। এবারে আশানুরূপ দাম পাবেন কৃষকরা। কেননা ভরা মৌসুম শুরু না হতেই বাজারে আগাম জাতের আলুতে বেশ ভাল দামই পেয়েছেন কৃষকরা। তাই কৃষকদের ধারণা, মৌসুমি আলু বাজারে উঠলে চাহিদা থাকবে ব্যাপক আর দামের দিক থেকেও বেশ সাড়া মিলবে। কুমিল্লার সব উপজেলাতেই আলু আবাদ হয়ে থাকে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কুমিল্লায় চলতি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আলু আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৫৮৭ হেক্টর জমিতে। হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ২৫ টনেরও বেশি। শীতের আগেই কুমিল্লার কয়েকটি উপজেলায় আগাম জাতের আলু আবাদ হয়েছে। যা বাজারে মিলছে নতুন আলু নামে। মৌসুমি আলু চাষাবাদের পর তা চলতি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আলুর ফলন তোলা শুরু হবে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি, চান্দিনা, দেবিদ্বার, আদর্শ সদর, বুড়িচং, মেঘনা, তিতাস, সদর দক্ষিণ, বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম ও লাকসামে এবারে আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। তবে ফলনের দিক থেকে দাউদকান্দি এগিয়ে রয়েছে। এ উপজেলায় ৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। ফলনের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চান্দিনা উপজেলা। এ উপজেলায় ২ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। চান্দিনার বরকইট, মহিচাইল, সইলপুর, নবাবপুর, বাতাঘাসি, গল্লাই, এতবারপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, এসব অঞ্চলে হোয়াইট ডায়মন্ড জাতের আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্যজাতের আলুও রয়েছে। বরকইটের আলুচাষী ইয়াসিন, কুয়ারপাড়ের খোরশেদ আলম, কেরণখালের ছিদ্দিকুর, শ্রীমন্তপুরের মন্নান, রুহল আমিন জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি উপকরণ সুলভ মূল্যে পাওয়ায় এবার ফলন ভাল হয়েছে এবং ন্যায্যমূল্য পেলে ভাল লাভ করা যাবে। চান্দিনার আলু চাষীরা আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে এখানকার কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ মেনে চলায় শীথ ও ঘন কুয়াশাও আলু ক্ষেতের কোনরকম ক্ষতি হয়নি। জমিতে সঠিক মাত্রার সুষম সার প্রয়োগ করায় এবারে ফলন বেশি হয়েছে। এখন মৌসুমি আলু ক্ষেতে পরিচর্যা চলছে। আগামী এক দেড় সপ্তাহের মধ্যে আলু তোলার কাজ শুরু হবে। বিগত বছরের চেয়ে এবারে আলুর আবাদ অনেক ভালো। তাই আলু চাষে তাদের আগ্রহ বেড়ে গেছে।
আলুর ব্যাপক ফলনে চাষীরা যেন ন্যায্য দাম পায় এজন্য স্থানীয়ভাবে আলুর বাজার তৈরি করার উপর জোর দিতে হবে জানালেন চান্দিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন ভূইয়া। তিনি বলেন, চান্দিনায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। ক্ষেতে আলু ভাল রাখতে প্রতিষেধক হিসেবে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছেন চাষীরা। এখানকার কৃষি অফিসের কর্মকর্তাসহ মাঠ কর্মীরাও সার, কীটনাশক প্রয়োগের ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। যা এবারের বাম্পার ফলনেই এ চিত্র ফুটে উঠেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।