Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভূ-উপরিস্তর পানির ব্যবহার বাড়াতে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে

রাজধানীতে সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

কৃষি খাতে পানির টেকসই ব্যবহার ও পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভূ-উপরিস্তর পানির ব্যবহার বাড়াতে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, সেচ খরচ হ্রাস ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল রোববার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ বিএডিসি অডিটোরিয়ামে ভূগর্ভস্ত পানি মনিটরিং ডিজিটালাইজেশন শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ দাবি করেন। বিএডিসি ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়নে জরিপ ও পরিবীক্ষণ ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের আয়োজনে এ সেমিনারের করা হয়।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সবসময়ই কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে নিয়োজিত। বঙ্গবন্ধু সেচের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে নিয়েছিলেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তিনি নগদ ভর্তুকি ও সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে কৃষকের মাঝে সেচযন্ত্র বিক্রির ব্যবস্থা করেন। ১৯৭১-৭২ সাল থেকে ১৯৭৪-৭৫ সালে-এই ৩ বছরে অগভীর নলকূপের সংখ্যা ৬৮৫টি থেকে বেড়ে ৪০২৯টি, গভীর নলকূপের সংখ্যা ৯০৬টি থেকে ২৯০০টি এবং পাওয়ার পাম্পের সংখ্যা ২৪,২৪৩টি থেকে ৪০,০০০টি তে দাড়াঁয়।সে ধারা অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারও সেচের আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও সেচ খরচ কমাতে নিরলস কাজ করছে। ফলে, সেচের এলাকা সম্প্রসারণের পাশাপাশি কমে এসেছে সেচ খরচও।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পানির টেকসই ব্যবহার ও পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভূ-উপরিস্তর পানির ব্যবহার বাড়াতে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। নদী-খাল খনন ও পুন:খনন, রাবার ড্যাম,জলাধার নির্মাণ, পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতির ব্যবহারসহ অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে ভূ-উপরিস্থর পানির ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এবং এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে ফসল উৎপাদনে সেচের খরচ অনেক কমেছে। এটিকে আরো কমিয়ে আনতে উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। সেচ দক্ষতাকে ৩৮% থেকে ৫০% উন্নীত করা হবে যাতে করে ভূ-উপরিস্ত পানির ব্যবহার বাড়ে ও সেচ খরচ আরও কমে আসে।

বিএডিসির জানায়, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে গত ১০ বছরে সেচ এলাকা সম্প্রসারণ হয়েছে ১০.৫০ লাখ হেক্টর, খাল পুনখনন করা হয়েছে ৯৪৫৭ কি.মি. সেচ নালা স্থাপন করা হয়েছে ১৩,৩৫১ কি.মি. এবং ১০টি রাবার ড্যাম ও ১টি হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে সেচ এলাকা ৫৬.২৭ লাখ হেক্টরে, সেচ দক্ষতা ৩৫% হতে ৩৮% এবং ভূপরিস্ত পানির ব্যবহার ২১% থেকে ২৭% এ উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। এবং সেচযোগ্য জমির ৭৩% সেচের আওতায় এসেছে।
বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, কৃষিসচিব মো.মেসবাহুল ইসলাম,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ ও পানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান, প্রকল্প পরিচালক মো, জাফর উল্লাহ ও বিএডিসির সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) মো. আরিফ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পানির-ব্যবহার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ