পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পদার্থবিদ অধ্যাপক স্টিফেন হকিংয়ের মতে, ছোট কৃষ্ণগহ্বরগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তিনি দাবি করেছেন, মহাবিশ্বের পর্বতাকৃতির একটি কৃষ্ণগহ্বর গোটা পৃথিবীর বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতে পারে। মহাবিশ্বে অনেক কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে, কিন্তু বিশাল আকৃতির কৃষ্ণগহ্বর শনাক্ত করা কঠিন। তবে অপেক্ষাকৃত ছোট পর্বতাকৃতির একটি কৃষ্ণগহ্বর থেকে নিঃসৃত রশ্মি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা যাবে এবং পৃথিবীর শক্তির যোগান দেবে। অধ্যাপক হকিং তার এক বক্তৃতায় বলেন, ‘পর্বতাকৃতির একটি কৃষ্ণগহ্বর প্রায় ১০ মিলিয়ন মেগাওয়াট হারে তেজস্ক্রিয় ও গামা রশ্মি বিচ্ছুরণ করবে, যা সারা বিশ্বের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত।’ ভালো কিছু করতে গেলে থাকে কিছু হারানোর আশঙ্কাও, হকিংও এ ধারণার বাইরে নন। বিশাল ক্ষমতার সঙ্গে বিশাল ঝুঁকিও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদি আমরা কৃষ্ণগহ্বরের ‘ভয়ঙ্কর’ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হই, তাহলে এটি পৃথিবীর মাঝে ডুবে যেতে পারে। এর ফলে এটি মানবজাতি, আমাদের এই গ্রহ আর ধীরে ধীরে পুরো সৌরজগতকেই নিঃশেষ করা শুরু করবে বলে বলেছেন ৭৪ বছর বয়স্ক এই তারকা পদার্থবিদ। আর তাই কৃষ্ণগহ্বর থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে এর শক্তি কাজে লাগাতে হবে।
হকিং কৌতুক করে বলেন, ‘মানুষ মহাবিশ্বে ছোট কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান করেছে, তবে এখন পর্যন্ত সফল হয়নি, যা পরিতাপের বিষয়। আর মানুষ সন্ধান পেলে আমি নোবেল পুরস্কার পেতাম। আমরা মহাবিশ্বে ছোট কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান না পেলেও হাল ছেড়ে দেইনি। এই পৃথিবীর বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর পরিকল্পনা আমাদের থাকবেই।’
সম্প্রতি বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে সামনের ১০০ বছরের মধ্যে মানব সম্প্রদায় ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে মত দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট করে হয়ত বলা সম্ভব নয় ঠিক কোন বছরে পৃথিবীতে এমন দুর্যোগ আসবে। তবে এই আশঙ্কা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কাছাকাছি নিশ্চিতভাবে বলতে গেলে হাজার বা দশ হাজার বছরের মধ্যে এটা হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের মহাশূন্যে আর অন্যান্য গ্রহে ছড়িয়ে পড়তে হবে, যাতে পৃথিবী দুর্যোগ আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানব সভ্যতা শেষ না হয়ে যায়। যাই হোক, অন্তত সামনের শত বছরের মধ্যে আমরা মহাশূন্যে স্বনির্ভর বসতি স্থাপন করতে পারব না, তাই এই সময়টা আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’ সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট ইউকে, এক্সপ্রেস ইউকে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।