পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগে যারা জামায়াত-শিবির করত, যারা বাগমারায় বাংলা ভাইকে প্রশ্রয় দিয়েছিল তাদেরই নেতৃত্বে গুলশান এবং শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা হয়েছে। এছাড়া এই হামলায় রয়েছে রাজনৈতিক মদদ। তিনি আরো বলেন, গুলশান হামলার মূল হোতাদের যেকোনো মুহূর্তে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মহানগর উত্তর আয়োজিত ‘টার্গেট আগস্ট; ধানমন্ডি থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ’ শীর্ষক জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি হামলা ও নাশকতার ঘটনায় যাদেরই ধরা হচ্ছে তারাই স্বীকার করেছে, অতীতে কোনো সময়ে কিংবা এখনো জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিল। তারাই এ কাজগুলো করছে। শুধু জামায়াতে ইসলাম নয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সদস্যও তারা।
তাদের (জামায়াতের) আশ্রয়-প্রশ্রয়ে জঙ্গি হয়েছে তারা।
তিনি বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মদদ রয়েছে। দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। একই ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি অবিচল থেকে জীবনের মায়া ত্যাগ করে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সেই বাংলা ভাইয়ের সময় যখন মিডিয়াগুলো এসব জঙ্গিদের কথা লিখেছে, তখন তারা বলেছে এগুলো মিডিয়ার সৃষ্টি। আজকে তাদেরই নেতৃত্বে তাদেরই সহযোগিতায় এই ষড়যন্ত্র চলছে। এটা স্পষ্ট ও প্রমাণিত। গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে এটা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মদদদাতাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ’৭১-এ বঙ্গবন্ধুর ডাকে যেভাবে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, আজকেও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আবার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ছোট শিশু থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, আমরা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের যথার্থভাবেই দমন করতে পারব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে গোষ্ঠী ও ষড়যন্ত্রকারীরা ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, সেই ষড়যন্ত্রকারীরাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছে। ২১ আগস্টের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে তারা। এসব হামলা থেকে আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন বলেই আজকে তার নেতৃত্বে আমরা একটি শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে চলেছি।
তিনি আরো বলেন, গুলশান হত্যাকা-ের মাস্টারমাইন্ডদের (মূল হোতাদের) আমরা চিহ্নিত করেছি, তাদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘১৯৭৫ সালে যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারা সফল হয়নি। সেই তারাই শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। সারা দেশে যেসব জঙ্গি হামলা ঘটছে সবগুলো ওইসব পরাজিত শক্তির চক্রান্ত।
বক্তব্য দেওয়ার আগে ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘টার্গেট আগস্ট, ধানমন্ডি থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম ও ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।