পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : তুর্কি সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার সিরীয় সীমান্ত শহর জারাব্লুসের দক্ষিণে পিছু হটতে নারাজ কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়া ইউনিটগুলোর উপর গোলাবর্ষণ করে। নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে আনাদলু এ খবর দেয়। হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও এ ইউনিটগুলো ওই এলাকা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। খবর আরটি।
খবরে বলা হয়, ওয়াইপিজি মিলিশিয়া ইউনিটগুলোর উপর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাউইটজারের গোলাবর্ষণ করা হয়। এ ইউনিটগুলো মানবিজের উত্তর থেকে জারাব্লুসের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থা তাদের চিহ্নিত করে। এর আগে ওয়াশিংটন আংকারাকে আশ্বস্ত করেছিল যে, মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বাহিনী ঐ এলাকা থেকে তাদের ইউনিটগুলোকে তুরস্কের দাবি মোতাবেক ফোরাত নদীর পূর্ব এলাকায় সরিয়ে নিচ্ছে।
তুর্কি দৈনিক হুররিয়েত বৃহস্পতিবার সকালে কেরি ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর মধ্যে কথাবার্তার পর তুর্কি নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি জোর দিয়ে বলেছেন যে পিওয়াইডি/ওয়াইপিজি বাহিনী ফোরাতের পূর্ব তীরে সরে যাচ্ছে।
২৪ আগস্ট আংকারা সফরে এসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জো বাইডেন কুর্দি মিলিশিয়ারা যদি তুরস্কের অনুরোধ অনুযায়ী ফোরাতের পূর্বদিকে সরে না গেলে সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতি মার্কিন বাহিনীর সমর্থন প্রত্যাহারের অঙ্গীকার করেন।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, তারা তাদের প্রতিশ্রুতি না রাখলে কোনো পরিস্থিতিতেই আমেরিকার সমর্থন পেতে পারে না, পাবে না।
তুরস্ক ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর জারাব্লুসের দখল নিতে বুধবার অপারেশন ইউফ্রেটিস শিল্ড নামে এ অভিযান শুরু করে। এ অভিযানের সাফাই গেয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, যখন তখন আন্তঃসীমান্ত হামলা বন্ধ এবং আইএস ও পিওয়াইডির (ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টি অব সিরিয়া) মত সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অব্যাহত হুমকি প্রতিহত করতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। সিরিয়া সরকার এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এটা সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লংঘন।
আল মাসদার নিউজ জানায়,ওয়াইপিজি কমান্ড তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন কুর্দি মিলিশিয়ারা মানবিজ ত্যাগ করেছে ও মানবিজ সামরিক পরিষদের কাছে শহরের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে বলে এক বিবৃতি দেয়ার পর তুর্কি অভিযান শুরু হয়। বুধবার তুরস্কের চাপের কাছে নতি স্বীকারে অনিচ্ছুক ওয়াইপিজি সিরিয়ায় তুর্কি অভিযানকে বৈরি হস্তক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করে। ওয়াইপিজির এক মুখপাত্র রেদুর জলিল বলেন, আমরা তুরস্ক বা তুরস্কের বাইরের কারো কথা শুনব না। তুরস্ক তাদের নিজের ইচ্ছা, নিজের স্বার্থ আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে পারে না। আমাদের সেনারা সেখানে রয়েছে। আমরা ফোরাতের পশ্চিম দিক থেকে সরব না। তিনি বলেন, তুরস্কের প্রধান লক্ষ্য আইএস নয়, কুর্দিরা। তুরস্কের ২০টি ট্যাংক সিরিয়ার ভিতরে এ অভিযান অংশ নিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এর সাথে সাঁজোয়া যান যুক্ত হবে। এদিকে তুরস্ক সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীরা জারাব্লুসকে আইএস মুক্ত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কুর্দি পিপলস প্রটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) হচ্ছে পিওয়াইডির সশস্ত্র শাখা যারা তুরস্ক কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সাথে ঘনিষ্ঠ। তুরস্ক দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পিকেকের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এপি জানায়, বৃহস্পতিবার কুর্দি বিদ্রোহীরা তুরস্কের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা কামাল কিলিসদারগলুর গাড়িবহরের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত সৈন্যদের উপর গুলিবর্ষণ করলে এক সৈন্য নিহত ও ২ জন আহত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।