পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মুসলিম মহিলাদের বুরকিনি পরা নিষিদ্ধ করা যাবে না, এমন মত দিয়েছে ফ্রান্সের আদালত। দেশটির সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত আরো বলেছে, এই পোশাক পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে মুসলিম মহিলাদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, যা অন্যায়। একটি শহরের (ভিলেনুভে লুবো) নিষেধাজ্ঞাকে উপলক্ষ করে আদালত এই রায় দিলেও ফ্রান্সের অন্যান্য শহরেও এর প্রভাব পড়বে। বিবিসি সংবাদাতারা জানিয়েছেন, আদালতের এমন নির্দেশের পর বিভিন্ন শহর থেকে বুরকিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। তবে করসিকা নামের একটি শহরের মেয়র এরপরও ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি তার শহরের সমুদ্র সৈকতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখবেন।
সম্প্রতি বুরকিনির ওপর নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালতে আপিল করে হিউম্যান রাইটস লিগ নামে একটি এনজিও। এর আগে গত সপ্তাহেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে দেশটির নিস শহরে বুরকিনি পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সম্প্রতি নিস সৈকতে শুয়ে ছিলেন এক নারী। তার পরিহিত পোশাকই পুলিশের কাছে হয়ে ওঠে তার একমাত্র পরিচয়। ওই নারী বুরকিনি পরেছিলেন। নিসে বুরকিনি নিষিদ্ধের ‘বিতর্কিত’ ঘোষণা থাকায় পুলিশ ওই নারীকে বুরকিনি খুলতে বাধ্য করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে ফ্রান্সে বুরকিনি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আলোচনায় আসে। অবশ্য ফ্রান্সের কয়েকটি অঞ্চলে আগে থেকে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। আর নিস শহরে গত সপ্তাহেই বুরকিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিস শহরের ৩৪ বছর বয়সী ওই নারীর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, নিসের সৈকতে প্রমেনাদে দেজ অ্যাংলেইসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আর্মড পুলিশ তাকে ঘিরে ধরে স্কার্ফ খুলতে বাধ্য করে। ওই নারীর পরনে ছিল নীল স্কার্ফ, লেগিংস এবং টিউনিক। তাকে পুলিশ জরিমানাও করেছে। তার জরিমানার রশিদে লেখা হয়েছে, তিনি সেক্যুলারিজম এবং ভালো নৈতিকতা বোধসম্পন্ন পোশাক পরেননি।
ওই নারী কেবল তার প্রথম নাম ‘সিয়াম’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার পরিবার নিয়ে সৈকতে বসেছিলাম। আমি একটি গতানুগতিক স্কার্ফ পরেছিলাম। সাঁতার কাটার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না।’ ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ম্যাথিলডে কাজিন বলেন, সবচেয়ে কষ্টের বিষয় ছিল যে, সেখানকার লোকজন ‘বাড়ি যাও’ বলে চিৎকার করছিলেন। কেউ কেউ পুলিশকে করতালি দিচ্ছিলেন। আর তার মেয়ে কাঁদছিল। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।