পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত ১৪ জানুয়ারি ‘দৈনিক ইনকিলাব’ এ প্রকাশিত ‘ইন্টারনেটের ধীরগতি : অনিষ্পন্ন সাড়ে পাঁচ লাখ অভিযোগ বিটিআরসিতে : আগামী সপ্তায় রিটের শুনানি’ শীর্ষক সংবাদের একটি অংশের প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি’। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির উপ-পরিচালক (মিডিয়া কমিউ: অ্যান্ড পাব: উইং) মো. জাকির হোসেন খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করে বলা হয়, দেশের জনপ্রিয় একটি দৈনিকের উল্লিখিত তথ্যসমূহ পরিবেশন কমিশনকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বিষয়টি আসলেই অনভিপ্রেত। আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, গত ০৭/০১/২০২১ তারিখে টেলিকম সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব শ্যামসুন্দর সিকদার অবহিত করেন যে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কমিশন কর্তৃক বিভিন্ন মাধ্যমে গৃহীত অভিযোগের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৩টি। যার মধ্যে সমাধান হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৪ অভিযোগ। যাতে সমাধানের হার শতকরা ৯৮.১৬ ভাগ। এই তথ্যটি প্রতিবেদকের দৃষ্টিগোচর হয়নি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিবেদক তার প্রতিবেদনে কমিশনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগসমূহ উল্লেখ করেছেন তা অসত্য ও ভিত্তিহীন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি বিটিআরসি’র মতো একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠানের যে সম্মান ও ভাবমূর্তি অর্জিত হয়েছে তা এ প্রতিবেদনের ফলে ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে কমিশন মনে করছে। তাই উক্ত বিষয়ে পুরোপুরি জেনে সংবাদ পরিবেশন করা সমীচীন।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রকাশিত প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু ইন্টারনেটের ধীরগতির অভিযোগ সমাধানের নিষ্ক্রীয়তা। ইন্টারনেটের কাক্সিক্ষত সেবা পেতে গ্রাহককে এখন রিট পর্যন্ত করতে হচ্ছে। উচ্চ আদালতে এই নিষ্ক্রীয়তাকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। অথচ এ বিষয়ে প্রতিবাদে কিছু বলা হয়নি। কমিশনে বছরে সাড়ে ৫ লাখ অভিযোগ জমা পড়েছে-এ তথ্য রিটকারীদের আইনজীবীই উল্লেখ করেছেন, যা অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের দুর্নীতির বিষয়টি গ্রাহকের কাছ থেকে ‘অভিযোগ’ আকারে এসেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।