পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিদায়ী ২০২০ সালের জন্য রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের সেরা গ্রাহক নির্বাচিত হয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। পাশাপাশি গত বছর ব্যাংকটির সর্বোচ্চ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানও ছিল গ্রুপটি। জনতা ব্যাংকের মোট রফতানির ৬৬ শতাংশই সম্পন্ন হয়েছে লোকাল অফিসের মাধ্যমে। ২০২০ সালে একক গ্রুপ হিসেবে লোকাল অফিস ও ব্যাংকের শীর্ষ রফতানিকারক হিসেবে অবদান রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড।
এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বেক্সিমকোকে সর্বোচ্চ রফতানির ট্রফি ও সেরা গ্রাহকের সম্মাননা জানিয়েছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকের পক্ষ থেকে জনতা ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বেক্সিমকো গ্রুপের পরিচালক এবং সিইও সৈয়দ নাভেদ হোসেনের হাতে রফতানি ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন। এর আগে ৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৬৪৮তম সভায় বেক্সিমকো গ্রুপকে ব্যাংকটির সর্বোচ্চ রফতানিকারক ও সেরা গ্রাহক মনোনীত করা হয়। জনতা ব্যাংক লোকাল কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. শহীদুল হক এক চিঠির মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমানকে এ সম্মাননা ও ট্রফি দেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান।
অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো গ্রুপের ফিন্যান্স ডিরেক্টর ওসমান কায়সার চৌধুরী, চীফ অপারেশন অফিসার অনিল কুমার মহেশ্বরি, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোস্তফা জামানুল বাহার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম এস খান শাকিল এবং হেড অব ব্যাংকিং মো. মাসুম মিয়া এবং জনতা ব্যাংকের ডিএমডি মো. ইসমাইল হোসেন, মো. জিকরুল হক, মো. জসিম উদ্দিন, আব্দুল জব্বার এবং মো. আমিরুল হাসানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, লোকাল অফিসের ৭৬ শতাংশ রফতানি সম্পন্ন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের মাধ্যমে। করোনার কারণে অন্যান্য কোম্পানিগুলো ঋণ পরিশোধ না করলেও কোনো কিস্তি বাকি রাখেনি বেক্সিমকো। সদ্য বিদায়ী বছর ঋনের কিস্তি হিসেবে ৪২৬ কোটি টাকা দিয়েছে গ্রুপটি। বেক্সিমকো গ্রুপের অন্তর্ভূক্ত ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনতা ব্যাংকে ব্যবসা পরিচালনা করছে। সদ্য বিদায়ী ২০২০ সালে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপের মোট রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। গত বছর ব্যাংকটি বেক্সিমকো গ্রুপ থেকেই আয় করেছে প্রায় ৪৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পুনর্গঠিত ও পুনঃ তফসিল করা ঋণের কিস্তি বাবদ আয় হয়েছে ৪২৭ কোটি টাকা।
বেক্সিমকোর প্রধান নির্বাহী সৈয়দ নাভিদ হোসেন বলেন, করোনাতে আমাদের অন্যান্য ব্যবসা কমলেও পিপিই উৎপাদন, বিপনন ও রফতানি বেড়েছে অনেকগুণ। গ্রুপের অন্যান্য ব্যবসা কমে অর্ধেকে পৌঁছেছে। তবে চিকিৎসা সামগ্রির মাধ্যমে নতুন পরিকল্পনায় আগাচ্ছি। তিনি বলেন, ২০২১ সালে টিকে থাকাটা কঠিন হবে। এ কঠিন সময়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করছে বেক্সিমকো।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুছ ছালাম আজাদ বলেন, জনতার সাথে বেক্সিমকো গ্রæপেরে ব্যবসায়ীক যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। এখন গ্রুপটি এই ব্যাংকের শীর্ষ রপ্তানিকারক। তাদের সহযোগী হতে পেরে আমরা গর্বিত। গ্রুপটির ২৮টি কোম্পানিতে ৬৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা গর্বিত।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, করোনার মধ্যে যে কোনো গ্রাহক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে ঋণমান অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেটাকে ব্যাংকের ভাষায় বলা হয় ডেফারেল সুবিধা। অন্য কোম্পানিগুলো এই সুবিধা নিলেও বেক্সিমকো ডেফারেল সুবিধা নেয়নি। প্রতিটি কিস্তি সময়মতো পরিশোধ করে গেছে গ্রুপটি। ২০২০ সালে আগের বছেরর তুলনায় ২০০ কোটি টাকার বেশি পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে জনতা ব্যাংক। যা এই গ্রুপের সহযোগিতার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। আমরা প্রকৃতভাবে জনতার ব্যাংকে পরিণত হওয়ার চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতেও করবো। ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ ব্যাংকে পরিণত হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মো. আবদুছ ছালাম আজাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।