পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কয়রা (খুলনা) উপজেলা সংবাদদাতা : সুন্দরবনের বনদস্যু সাইজ্যা বাহিনী প্রধান আবুবক্কর সরদার ওরফে বাক্কার সরদার (৩৭) শুক্রবার ভোররাতে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন ফুলতলা নদীতে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি টুটুবোর রাইফেল, ১টি একনলা বন্দুক ৭ রাউন্ড গুলি এবং দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রার ফুলতলা নদীতে তাদের একটা দলের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দস্যুবাহিনী প্রধান আবু বক্কার নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বন্দুক ১টি টুটুবোর রাইফেল, ৭ রাউন্ড গুলি এবং ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সূত্রে ফুলতলা এলাকায় দস্যুদের অবস্থানের কথা জানতে পেরে র্যাব-৬ সদস্যরা ভোরে অভিযান চালায় র্যাবের অবস্থান টের পেয়ে দস্যুরা র্যাবের উদ্দেশে গুলি চালায়। র্যাব পাল্টা গুলি ছুড়লে দস্যুরা পিছু হটে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে বনদস্যু আবুবক্করের মরদেহ উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
প্রায় বছর তিনেক আগে সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু সাইজ্যা বাহিনীর প্রধান সাইজ্যা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হযয়ার পর দলটির দায়ীত্ব নেয় আবুবক্কর সে কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের বালিয়াডঙ্গা গ্রামের আলেক সরদাদের পুত্র। এর আগে সে দীর্ঘদিন যাবৎ সািইজ্যা বাহিনীর সেকেন্ডইন কমান্ড হিসাবে সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াসী অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু বাহিনী প্রধান ইলিয়াছ মাষ্টার, মজনুসহ ২ দফায় ৩ দস্যু বাহিনীর ২১ সদস্য এবং ৬৯টি দেশি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেন। গত কয়েকদিন আগে পুলিশের সাথে বন্দুযুদ্ধে আরেক কুখ্যাত বনদস্যু বাহিনী প্রধান আনারুল নিহত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক চাপের মুখে এত বনদস্যুর আত্মসমর্পণ বেশকিছু বনদস্যু বন্দুযুদ্ধে নিহত তবুও জেলে বাওয়ালীদের স্বস্তি ফিরছে না। কারণ এক বাহিনী শেষ হতে না হতেই আরেক বাহিনীর জন্ম হয় আর জেলে-বাওয়ালীদের জিম্মিদশা চলতেই থাকে। সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনে মাছ ব্যবসার আড়ালে কতিপয় ব্যক্তি বনদস্যু সৃষ্টির কারিগর। এর মধ্যে প্রধান কারিগর কুখ্যাত বনরাজখ্যাত হাবিব মাস্টার বর্তমানে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়রা থানা-পুলিশ একটি অস্ত্র মামলায় হাবিব মাষ্টারকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলে-বাওয়ালীরা জানায় বনরাজের নিকট থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। যা সুন্দরবনের অন্যান্য বনদস্যু নিধনে প্রশাসনের সহায়ক হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।