পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কৃষিকাজে দেশের শিক্ষিত যুব সমাজকে কাজে লাগানো গেলে পণ্যের মান উন্নত হবে এবং কৃষিপণ্যর ন্যায্য মূল্য নিশ্চত হবে। ভোক্তা নিরাপদ খাদ্যপণ্য পাবে। বাণিজ্য্যমন্ত্রী বলেন, যুব সমাজকে কৃষিভিত্তিক শিল্পে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। শিক্ষিত যুবসমাজ কৃষির দায়িত্ব নিলে দেশ লাভবান হবে। আমাদের দেশে মৌসুমের সময় অনেক কৃষি পণ্য নষ্ট হয়ে যায়, কৃষকরা নামমাত্র মূল্যে এগুলো বিক্রয় করতে বাধ্য হয়। দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে সারা বছর ব্যবহার করা যায়। একই সঙ্গে কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। এতে করে শিক্ষিত যুব সমাজ কাজের সুযোগ পাবে, অপর দিকে কৃষি পণ্যের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে। টিপু মুনশি বলেন, দেশ অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। আমাদের যুব সমাজ ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ কবে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। দেশের স্বাধীনতার জন্য হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছে। যুবকরা দেশ ও জাতির বড়শক্তি।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় স্থানীয় একটি হোটেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে যুব উদ্যোক্তা তৈরী, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র হ্রাস করণ’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বলেন, দেশের সাড়ে পাঁচ কোটি যুবককে কাজে লাগাতে হবে। দেশের শিক্ষিত যুব সমাজকে কাজে লাগানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের কৃষি পণ্য প্রসেসিং কাজে দেশের যুব সমাজকে লাগালে দেশ উপকৃত হবে। যুব সমাজকে মানবিক ও নৈতিকতার সাথে গড়ে তোলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং সরকার প্রশিক্ষণের উপর সরকার বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে উক্ত কর্মসূচির আওতায় কৃষিপণ্য উৎপাদকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, ভোক্তাদের জন্য ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত খাদ্য পণ্যের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে যুবশপ ও এক্সপ্রেস কিচেন এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র এর যাত্রা শুরু এবং যুব ব্রান্ডের লোগো উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন, ফোর্থ আই এগ্রো ইনোভেশনস এন্ড টেকনোলজিস এর চেয়ারম্যান্যান কাজী গোলাম আলী সুমন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমদ বারী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।