পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720355628](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) যুক্ত হতে চায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটে। এ ব্যাপারে ১৪-দলের পক্ষ থেকে তিনি সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, বিএনএকে জোটে নেয়ার আগে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে নির্ধারণ করা হবে, নাজমুল হুদার জোটটি ১৪-দলীয় জোটের সঙ্গে যুক্ত হবে, না জোটের সঙ্গে যুগপৎভাবে থাকবে। পরে প্রস্তাবটি জোটের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পেশ করা হবে।
জানা গেছে, গত বছর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনএ জোট গঠনের ঘোষণা দেন। তবে ওই জোটের ৩১টি দলের কোনটিই নির্বাচন কমিশনে তালিকাভুক্ত নয়। গত বছরের ২০ নভেম্বর বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার হুদা ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেন। তিনি বিএনএ প্রধানের পাশাপাশি এখনও বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টির চেয়ারম্যান। মজার ব্যাপার হচ্ছে- বিএনএ জোটভুক্ত ৩১টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মাত্র ১২টি রাজনৈতিক দলের পরিচয় জানা গেছে। এগুলো হচ্ছেÑ তৃণমূল বিএনপি, আম আদমী পার্টি, আম জনতা পার্টি, বাকশাল, বাঙালী জনতা পার্টি, দেশপ্রেমিক পার্টি, স্বাধীন পার্টি, গণআন্দোলন পার্টি, প্রতিবাদী জনতা পার্টি, জাগো বাঙালী, জাগো দল এবং সচেতন হিন্দু পার্টি।
গত শুক্রবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিএনএ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীল সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। সেখানে তিনি বিএনএ-কে ১৪ দলে নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখান। বিএনএ-কে ১৪ দলে নেয়া হবে কি না, জানতে চাইলে মোহাম্মদ নাসিম প্রথম আলোকে বলেন, ১৪ দলসহ ওনাদের সঙ্গে বসব। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নিয়ে যেহেতু ১৪ দল নামে একটি জোট আছে; ওনাদের নিয়ে বসব। একটা বৈঠক হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেব। তারা জোটের সঙ্গে থাকবে, না একই ধরনের যুগপদ কর্মসূচি পালন করবে। এটা নিয়ে ১৪-দলীয় জোট ও বিএনএ জোটের সঙ্গে মতবিনিময় হবে। তবে কবে নাগাদ এ বৈঠক হবে, সেটা নিয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
অবশ্য বিএনএর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না নাজমুল হুদা। তবে নাজমুল হুদার প্রশংসা করতে ভোলেননি মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ‘আলোচনা করব, আলোচনা করেই এগিয়ে যাব। নাজমুল হুদা ভাই থাকলে ভালো হতো। উনি খুব ভালো ব্যক্তিত্ব। তিনি নাজমুল হুদা সম্পর্কে বলেন, ব্যারিস্টার হুদা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসাবে বিশ্বাস করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে চান। তার সঙ্গে কোন স্বাধীনতার শত্রু জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্ক নেই।
এদিকে বিএনএ জোটের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা গতকাল শনিবার গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ১৪-দল সঙ্গে জোট করতে আমরা রাজি আছি। যদি আজকে দেশে সুস্থ রাজনীতি ও সুশাসন আনতে এই ১৪ দলীয় জোট কাজ করে এবং এই ব্যাপারে সিরিয়াস হয়, তবে অবশ্যই তাদের সঙ্গে কাজ করতে রাজি আছি। সরকারের বর্তমান বিভিন্ন কর্মকা-ের ভূয়সীপ্রশংসাও করেন নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, তারা যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের শরিক হতে পারলে তো অসুবিধা নাই। একমাত্র পলিটিক্যাল সাইড ছাড়া এই সরকারকে সবদিক থেকে মানুষ মেনে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর একজন সদস্য দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ব্যারিস্টার হুদা পজিটিভ রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। তিনি সন্ত্রাসী জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতির বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলেও তাকে মনে হয়। তা ছাড়া রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই, ভাঙা-গড়া সবকিছু চলে। জোটের শীর্ষ নেতারা ইতিবাচক মনোভাব দেখালে কেবল তা জোটের প্রধান শেখ হাসিনার কাছে নাজমুল হুদার যোগদানের বিষয়ে আলোচনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।