পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার গত একযুগ ধরে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর অবিরামভাবে হামলা-মামলার মহোৎসব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হচ্ছে আমাদের মুকুট, মামলা হচ্ছে গলার মালা। সেই মালা আওয়ামী লীগের গলায় ফেরত না দেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহাগর বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, তারেক রহমানের নামের আগে কোনও বিশেষণের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই সরকারের নামের পরে অনেক বিশেষণের দরকার আছে। আমরা যে কথাগুলো বলি বারবার, এই কথাগুলো তাদের মধ্যে থেকেই অনেক আগে থেকেই আলোচনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই বলছেন, নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করছে, লুটপাট করছে। আবার এদিকে সাঈদ খোকন বলছে, তাপস চোর আর তাপস বলছে, সাঈদ খোকন ডাকাত। এই যে তাদের নামে নতুন নতুন বিশেষণ যোগ হচ্ছে এগুলো তো আমরা করছি না, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই করছে।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছেন, তার চেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে আপনাদের নিজেদের মধ্যে দ্ব›দ্ব মিটানো। মেজর সিনহার হত্যাকান্ডের পরে পুলিশ মামলা করেছে। র্যাব সেটার ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। সেই মামলায় পুলিশ আবার নারাজি দিয়েছে। এদিকে ঢাকার অন্য একটি হত্যা মামলার ব্যাপারে পিবিআই ফাইনাল দিয়েছে, র্যাব আবার সেটার নারাজি দিয়েছে। এই যে নিজেদের মধ্যে বিশেষণ এক এক করে বের হয়ে আসছে, এটা থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য চাল, ডাল, তেল ও লবণ এর দাম বাড়ানো হয়েছে। আবার এই জায়গা থেকে জনগণের মাথা সরানোর জন্য এ মামলার সূত্রপাত করা হয়েছে।
বিএনপির এই যুগ্ন-মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তারেক রহমানের নামে এই মামলা আমরা ফুলের মালা হিসাবে বরণ করে নিয়েছি। যতদিন বেঁচে থাকব এই মামলা কাঁধের মালা হিসাবে রাখবো এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না আওয়ামী লীগের গলায় ফেরত দিতে পারব, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের কাজী আবুল বাশার ও উত্তরের আবদুল আলীম নকির পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, শিরিন সুলতানা, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম, শামীমুর রহমান শামীম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, জাসাসের হেলাল খান, ছ্ত্রা দলের ফজলুল রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।