পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডাল, তেল বা চিনি কিনতে চাইলে সাথে পেঁয়াজ নিতে হবে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকে পণ্য কিনতে গেলে পরিবেশকরা এমনই শর্ত দিচ্ছেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ না নিলে তারা অন্য কোনও পণ্য বিক্রি করছেন না। পরিবেশকদের এমন শর্তে ক্রেতারা চরম ক্ষুব্ধ। বিদেশী পেঁয়াজ কিনতে কেউই আগ্রহী নন। সবাই দেশি পেয়াঁজ কিনতে চান। অথচ তেল ডাল কিনতে গিয়ে অনেকে বিদেশী পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে আবার টিসিবির পণ্য না কিনেই কালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।
টিসিবির ট্রাকে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা। আর বাজারের দেশি পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের তুলনায় টিসিবির ট্রাকে পেঁয়াজের দাম অর্ধেক। এরপরও ক্রেতাদের আগ্রহ নেই। কয়েকদিন আগেও টিসিবির ট্রাকের সামনে লম্বা লাইন দেখা গেলেও এখন আর নেই কোনও ভিড়। অনেক স্থানেই ডেকে ডেকে পেঁয়াজ বিক্রির চেষ্টা করছেন পরিবেশকরা।
ট্রাক দেখে অনেকে ডাল বা তেল কিনতে গিয়ে পরিবেশকদের শর্ত শুনেই কেউ কেউ ফিরে যাচ্ছেন। পরিবেশকরা যেকোনও পণ্য কিনলে সঙ্গে পেঁয়াজ নিতে বাধ্য করছেন।
রামপুরা এলাকার টিসিবির ডিলার মাসুদ পারভেজ বলেন, বিদেশী পেঁয়াজ অর্ধেক দামে বিক্রি করলেও কেউ পেঁয়াজ কিনছেন না। ট্রাক ভর্তি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে অন্য পণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজ বিক্রি করার চেষ্টা করছি। পেঁয়াজ নিয়ে আমরা লোকসানে পড়ে গেছি। বরাদ্দের পেঁয়াজ শেষ না হলে টিসিবি থেকে অন্য পণ্যও দেয়া হচ্ছে না।
টিসিবির কয়েকজন ডিলারের সঙ্গে কথা বলে জানান যায়, তারা কেউ তিন দিন কেউবা পাঁচ দিন আগে বরাদ্দের পেঁয়াজ উঠিয়েছেন। কিন্তু এখন বিক্রি করতে পারেননি। এর সাথে যে পরিমাণ ডাল, তেল বা চিনি নিয়েছিলেন তা অনেকেরই বিক্রি হয়ে গেছে। তাই অনেক জায়গার ট্রাকে তেল ডাল এসব পণ্য নেই শুধু পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, টিসিবির ট্রাকে বিদেশী পেঁয়াজ অনেক বড় সাইজের, অনেক পেঁয়াজে পচন ধরেছে, মানও ভালো না। বিদেশী পেঁয়াজের স্বাদও দেশী পেঁয়াজের মত না। অন্যদিকে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। দেশি পেঁয়াজের দাম এখন নাগালের মধ্যে। এর ফলে টিসিবির ট্রাক থেকে পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহ হারাচ্ছেন ক্রেতারা।
টিসিবির ট্রাকে এক কেজি ডালের দাম ৫০ টাকা, যা বাজারের চেয়ে ২৫-৩০ টাকা কম। পাঁচ লিটারের এক বোতল তেলের দাম ৪০০ টাকা। বাজারে পাঁচ লিটার তেলের দাম ৫৫০ টাকা থেকে ৫৮০ টাকা। এ ক্ষেত্রে ক্রেতার সাশ্রয় ১৫০ টাকার মতো। এছাড়া এখন নেই চিনির সরবরাহ। অন্যদিকে অধিকাংশ ট্রাকসেলে তেল পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ডালের সঙ্গে আড়াই কেজি এবং যেসব পরিবেশকের কাছে তেল রয়েছে তারা কমপক্ষে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ গছিয়ে দিচ্ছেন।
গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক ছেড়ে কিছুটা দূরে অবস্থানকারী টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির ট্রাক দেখা গেলেও ক্রেতাদের কোনও লাইন ছিল না। অলস সময় কাটাচ্ছেন পরিবেশকরা। অথচ মাত্র কয়েকদিন আগেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে টিসিবির পেঁয়াজ স্বল্পমূল্যে কেনার জন্য বিশাল লাইন থাকত।
টিসিবির ট্রাকসেলের পাশেই মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনী বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সালমা খাতুন বলেন, আগেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভিড় ঠেলে মাত্র এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারতাম। এখন চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ কিনতে পারছি বাজারে। বাজারে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দামও কম, মানও ভালো। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজের স্বাদও অন্য পেঁয়াজের চেয়ে ভাল।
প্রেসক্লাব এলাকার ট্রাকসেলের পরিবেশক মনসুর বলেন, প্রতিদিন আড়াই টন করে বরাদ্দ পাচ্ছি। কিন্তু বিক্রি হয় অর্ধেকের চেয়ে কম। বরাদ্দ পাওয়া পেঁয়াজ পুরোটা বিক্রি করতে সময় লাগছে। এ সময়ের মধ্যে কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে পেঁয়াজে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।