পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এই লটারির মাধ্যমেই এবার সারা দেশের ৩৯০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি বোতম চেপে আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষার্থীর লটারির কার্যক্রম শুরু ও ফল প্রকাশ করেন। লটারি কার্যক্রম মাউশির ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি স¤প্রচার করা হয়। অনলাইনে স্কুলে ভর্তির এই লটারি হচ্ছে টেলিটকের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে। সারা দেশে ৩৯০টি সরকারি স্কুলের ৭৭ হাজার ১৪০টি শূন্য আসনের বিপরীতে মোট ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯জন শিক্ষার্থীর আবেদন লটারিতে জমা পড়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। লটারির জন্য ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ফিডার শাখাসহ তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুলের নাম দিতে পেরেছে।
এছাড়া সারাদেশের আবেদনকারীরা থানাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পেরেছে। লটারিতে একজন শিক্ষার্থীকে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করে দেওয়া হচ্ছে। লটারি শেষ হওয়ার পরে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবকরা টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল জানতে পারছেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ফল পাওয়ার পর তা জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতিকে মেইল করবেন এবং স্কুলের বোর্ডেও টাঙিয়ে দেবেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবার পরীক্ষা ছাড়াই সব শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে অন্যবছর নির্দিষ্ট কিছু নামী স্কুলের দিকেই তুলনামূলকভাবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঝোঁক বেশি থাকে। ফলে স্কুল স্কুলে শিক্ষার্থীদের মেধার ভারসাম্য থাকে না। এবার লটারি হওয়ায় সেটা হবে না বলে মনে করেন দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নানা ধরনের মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এবার সকল সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাবে। সারা বিশ্বেই শিক্ষার মান অর্জনের জন্য যে বিষয়গুলো জরুরি, সেখানে এটিও একটি বিষয়। আমরা আশা করি, এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার মান উন্নত হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, এই ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি বা কোনো রকমের অবৈধ লেনদেনের সুযোগ নেই। বিশেষ বিবেচনারও সুযোগ নেই। প্রতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় যে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সেটি এ বছর আর থাকছে না। কোটার যে সুযোগ রেখেছি আমরা, সেটির সঙ্গে মিল রেখেই এবার ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।