পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে গ্রুপ লিডারদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান শুরু করা হবে। হজযাত্রীদের ভোগান্তি লাঘব এবং হজ নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করতে দালালদের মূল উৎপাটন করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট ও কোটা বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। হজযাত্রীদের ট্রলিব্যাগ নিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি বন্ধ করতে পারায় হাজীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আজ সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনস্থ একটি হোটেলে হাবের উদ্যোগে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা, খসড়া হজ ও ওমরাহ আইন এবং কর্জে হাসানা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এসব কথা বলেন।
সভায় জানানে হয়, যদি চলতি বছর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয় তা’হলে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার কাছে লিখিত অনুরোধ জানানো হবে। অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাবের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, সহসভাপতি এস এম ইব্রাহিম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, আকবর আলী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, আবু তাহের, সুপার এয়ার সার্ভিসের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আশরাফুল হক ও মাওলানা জাহিদ আলম।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আগে কোনো হজ এজেন্সি অনিয়ম করলে এক কোটি থেকে দু’কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতো। বর্তমান খসড়া হজ ও ওমরাহ আইনে অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে ১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, যেহেতু হাব পল্লীর জমির ক্রেতা ও বিক্রেতা একজনই, তাই কিছু দিন আগে হাবের গুরুত্বপূর্ণ সভায় হাবের সকল সাবেক সভাপতি, সাবেক মহাসচিবদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় যে, হাব পল্লীর জমি বিক্রেতার নিকট থেকে ফেরত নিয়ে পুরো টাকা সংশ্লিষ্ট সদস্যদের ফেরত দেয়া হবে। সভায় সৎ দক্ষ দুর্নীতিমুক্ত হাব প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ এবং কর্জে হাসানার অর্থ দ্রুত ফেরত পাওয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। হাব সভাপতি বলেন, নতুন হজ ও ওমরাহ আইনে দায়ী এজেন্সিগুলোর অপরাধের মাত্রা অনুযায়ীই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইনে এজেন্সির মালিকানা পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট ও কোটা বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। রিপ্লেসমেন্ট বাণিজ্যের সাথে আশকোনাস্থ হজ অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীরাও জড়িত রয়েছে। এসব দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের ব্যাংক একাউন্টে দু’তিন কোটি টাকার অর্থের খবরও জানা গেছে। হাব সভাপতি বলেন, হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলোর দায়-দায়িত্ব কী তা’ নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, হাব পল্লীর টাকা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না বলেও হাব সভাপতি তসলিম উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।