পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অধ্যাদেশ নয়, আইন সংশোধনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে পাস করেই আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশ করতে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ (সংশোধন)’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮’ এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ওইসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, অধ্যাদেশ জারি করে আগামীকাল বুধবার থেকে আগামী শনিবারের মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যায় কি না, সেই প্রস্তাব তোলা হয়েছিল মন্ত্রিসভায়। আইনে বিধান আছে, পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল দিতে হবে। যেহেতু এবার পরীক্ষা নেওয়া যায়নি, তাই ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ফলাফল দিতে অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব করেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় আলোচনার পর দেখা গেল, আর মাত্র সাত দিন পর সংসদের অধিবেশন বসবে। তাই মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, এটি অর্ডিন্যান্স করার দরকার নেই। ভেটিং সাপেক্ষে সরাসরি অনুমোদন দেওয়া হল। সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনই উপস্থাপন করে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে আইন করে যাতে ২৫, ২৬ অথবা ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ফলাফল দিয়ে দেওয়া যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত বছরের ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মত এইচএসসি পরীক্ষাও এবার নেওয়া যাচ্ছে না। সেদিন তিনি বলেছিলেন, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে।
জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে। ডিসেম্বরের শেষে এসে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। তাই আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নতুন বছরের শুরুতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা যায় কি না, সেই চেষ্টা তারা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।