পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যাপক গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন প্রার্থীরা। নৌকা এবং ধানের শীষের পক্ষে নগরজুড়ে চলছে ভোটের প্রচার। মাইকিং, স্লোগান, পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন প্রতিদিনই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছেন। বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থীর প্রচার বহরে দলীয় নেতাকর্মীদের ভিড়। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এসব কর্মসূচিতে শরিক হচ্ছেন দলে দলে।
তবে করোনার কারণে সাধারণ মানুষ এসব কর্মসূচিতে তেমন সাড়া দিচ্ছে না। ভোটের প্রচারে আমজনতার এখনো সাড়া কম। গণসংযোগে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে উদাসীন। সাধারণ ভোটারেরা এটিকে ভালচোখে দেখছেন না। এ প্রেক্ষাপটে ভোটারদের মন জয়ে নানা কৌশল নিচ্ছেন প্রার্থীরা। কোন কোন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থীর সমর্থকরা প্রচারপত্র বিলি করছেন। অনলাইনেও ডিজিটাল প্রচারে মনোনিবেশ করছেন প্রার্থীরা। আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিনকে সামনে রেখে জোর প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মেয়র এবং ৪১টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা বিরামহীন প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোটের প্রচারে আচরণবিধি ভঙ্গের পাল্টাপাল্টি অভিযোগও উঠছে।
নির্বাচনী প্রচারের গতকাল সোমবার চতুর্থ দিনে নগরীর মোহরা, চান্দগাঁও এবং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এম এ আজিজের কবর জেয়ারত করেন ও স্মরণসভায় যোগ দেন। গণসংযোগকালে বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, জনকল্যাণে কাজ করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। অজুহাত, নালিশ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপরাজনীতি করে জনকল্যাণ হয় না। তিনি বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, হত্যা, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে যে দলের জন্ম তারা মানুষকে কি দিতে পারে তা জনগণ দেখেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। গণমানুষের কল্যাণই আমাদের রাজনীতি। এ সময় তার সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নোমান আল মাহমুদ, আবদুচ ছালাম, আবু তাহের, কাউন্সিলর প্রার্থী জোবাইরা নার্গিস খান প্রমুখ।
এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বহদ্দারহাট, চান্দগাঁওসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব একমাত্র বিএনপির হাতেই নিরাপদ। বিএনপি কোন দেশের তাবেদারি করে না। যারা ভীনদেশের তাবেদারি করে তাদের হাতে দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। তিনি হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতিক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি নেতা আবুল হাশেম বক্কর, আবু সুফিয়ান, এরশাদ উল্লাহ, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, হারুন জামান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।