পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংকটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই ছিল দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশাক্তি। মহামারির মধ্যে গেল মাসগুলোর পাঠানো রেমিট্যান্স অতিতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে। এর মধ্যে মূল ভ‚মিকা পালন করছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। প্রবাসী আয় পাঠানোর শীর্ষে থাকা ১০ দেশের মধ্যে ৫টিই হলো মধ্যপ্রাচ্যের। সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সউদী আরব থেকে। দেশটিতে অবস্থান করা প্রবাসীরা অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৩০৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের প্রায় ২৪ শতাংশ। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও করোনায় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী মহামারিতে প্রবাসীরা একধরনের অনিশ্চয়তার কারণে জমানো টাকা দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রবাসীরা এর মধ্যে অন্যতম। এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই- ডিসেম্বর) প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ২৯৪ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সাত দেশ থেকে এসেছে মোট রেমিট্যান্সের ৫৬ শতাংশ বা ৭২৩ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, বাংলাশে ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে অন্য দেশগুলো হলো-যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ওমান, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর।
চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে রেমিট্যান্স আহরণের দ্বিতীয় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৫ কোটি ডলার। তৃতীয় মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৭ কোটি ডলার । চতুর্থ অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়া থেকে এসেছে ১১৪ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ১০২ কোটি ডলার।
রেমিটেন্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল। তারও আগে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই সময় রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
মাস হিসেবে তুলনা করলে দেখা যায়, নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ২৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ২২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। কোনো একক মাসে এত বেশি প্রবাসী আয় আগে আসেনি। এর আগে একক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল ঠিক আগের মাসেই, জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ডলার (প্রায় ১৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা)। সেই হিসাবে এক মাসেই প্রবাসী আয় বেশি এসেছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। সেপ্টেম্বারে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৪৫.৬৩ শতাংশ বেশি। সেপ্টেম্বরে ১৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ডলার। নভেম্বরে রেমিট্যান্স ২০৭ কোটি ডলার যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।