পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ এক হাজার কোটি টাকা এবং গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৫৯ লাখ। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইসলামী ব্যাংকের দুই দিনব্যাপী ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত শনিবার এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরসের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২০ সালে ইসলামী ব্যাংক আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স আহরণ করেছে যথাক্রমে ৪১ হাজার ৯০৫ কোটি, ২২ হাজার ৪৯৭ কোটি এবং ৪৮ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। ২০২০ সালে ব্যাংকের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স সংগৃহীত হয়েছে। রেমিট্যান্স আহরণে ইসলামী ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬০ শতাংশ। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মানসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, ঢাকাস্থ চারটি জোনের প্রধান এবং দেশব্যাপী ১১টি ভ্যেনুতে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে ভার্চুয়ালি অন্যান্য জোনপ্রধান এবং ৩৭৩টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ৩৭৩টি শাখা, ১৬১টি উপশাখা, দুই হাজার ২৭৫টি এজেন্ট আউটলেট, এক হাজার ৭৫২টি এটিএম-সিআরএম বুথের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে।
ব্যাংকটির চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান বলেন, করোনা অতিমারী এবং বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ২০২০ সালে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায়িক সাফল্যে সন্তোষজনক। ২০০৯ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার তুলনায় চলমান সংকটের প্রভাব আট গুণেরও বেশি। অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং সেক্টরের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাংকের সেলফিন, এমক্যাশ, আই-ব্যাংকিংসহ অন্যান্য প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সেবার আরও বেশি প্রসার ঘটাতে হবে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, চলমান সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই ব্যাংক অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে আন্তরিকভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বিনিয়োগ সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে। আর্থিক খাতের প্রযুক্তি ‘ফিনটেক’ ব্যবহার করে সম্ভাব্য সকল খাত ও আর্থিক সুবিধার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় আনার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।