পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মেদিনী মন্ডল আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু নাছের লিমনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের কবর থেকে লাশ তোলা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর সোয়া একটার দিকে মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে হতে মুন্সীগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস শিকদারের উপস্থিতিতে পুলিশ কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এর পূর্বে স্ত্রী হত্যার অভেযোগে শিক্ষক আবু নাছের লিমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় অপর আসামি করা হয় শিক্ষক লিমনের পরকীয়া প্রেমিকা দিলরুবা আক্তারকে। মামলার পর থেকে লিমন পলাতক রয়েছেন। লিমন উত্তর মেদিনী মন্ডল গ্রামের ওহাব খার ছেলে ।
জানা যায়, শিক্ষক আবু নাছের লিমন প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে তাহমিনা আক্তার ঝুমুরকে বিয়ে করে। গত ৫-৬ বছর পূর্বে দিলরুবা আক্তার নামে এক নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে লিমন। বিষয়টি এক সময় জানাজানি হয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাধ লেগে থাকত। গত ২৪ জুলাই শিক্ষক লিমন তার পরকীয়া প্রেমিকা দিলরুবাকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এ সময় স্ত্রী তাহমিনা দিলরুবাকে বাড়িতে থেকে চলে যেতে বললে লিমন ও দিলরুবা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এর পর কাউকে কিছু না জানিয়ে অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন মানুষ নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে লাশ দাফন করে। এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশ নানা টালবাহানা শুরু করে। তাই আদালতের এ মামলা দায়ের করেছেন নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের ভাই মো. কামরুজ্জামান খান।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আলমগীর হোসাইন জানান, গত মাসে মামলাটি আদালত থেকে থানায় আসে। গতকাল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের লাশ কবর হতে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।