পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌপথে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের চাঁদাবাজি বন্ধসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন পণ্যবাহী নৌযান মালিকরা। এ সমস্যা সমাধান না হলে নৌযান পরিবহন খাত ধ্বংসের মুখে পড়বে বলেও দাবি তাদের। গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিভোয়া) নেতারা। মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এবং ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবিরের নেতৃত্বে নৌযান ব্যবসা সমৃদ্ধি ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিসিভোয়ার সাবেক সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডব্লিউটিএ’র বাইরে সিরিয়ালবিহীন জাহাজ চলাচল বন্ধ করতে হবে। জাহাজে ডাবল মাস্টার ও ডাবল ড্রাইভার প্রথা বাতিল করতে হবে। ৫০ মিটার ঊর্ধ্ব জাহাজের ক্ষেত্রে নির্মাণকাল থেকে জাহাজ সচল থাকা অবস্থা পর্যন্ত বেক্রসিং প্রদান করতে হবে এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ, নগরবাড়ী ও খুলনার নোয়াপাড়া রুটে নদী ড্রেজিং করতে হবে।
আমরা সব সময়ই সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম উল্লেখ করে মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি অশুভ চক্র পণ্যবাহী নৌযান ব্যবসা কুক্ষিগত করার জন্য সুক্ষভাবে কাজ করছে। এই অবস্থার অন্তর্নিহিত কারণগুলো যদি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একটি সম্মানজনক সমাধান না করেন তবে আমাদের নৌযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত দাবিগুলো বাস্তবায়নে আগামী তিন মাসের সময়সীমা বেধে দেন নৌযান মালিকরা। অন্যথায় কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা আতঙ্কের মধ্যেও মানুষের রুটি রুজি অন্বেষণের প্রয়োজনে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সব জাহাজ মালিকদের বাধ্য হয়ে আজ একত্রিত হতে হয়েছে। গত বছরের ১৯ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত শ্রমিক কর্মচারীরা অযৌক্তিক খাদ্য-ভাতা প্রদানের বিষয়ে অনড় থাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেশের এই সংকটকালে কোনো শ্রেণী ও পেশাজীবীদের মধ্যে কোনো প্রকার অসন্তোষ যাতে সৃষ্টি না হয় সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের যৌক্তিক দাবি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নৌযান মালিকদের একটি সম্মানজনক খাদ্য ভাতা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান।
তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম বন্দর ও মংলা বন্দরে অবৈধ বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করা, ডব্লিউটিসির বাইরে সিরিয়ালবিহীন জাহাজ চলাচল বন্ধ, জাহাজে ডাবল মাস্টার ও ডাবর ড্রাইভার প্রথা বাতিল, ৫০ মিটার ঊর্ধ্ব জাহাজের ক্ষেত্রে নির্মাণকাল থেকে জাহাজ সচল থাকা অবস্থা পর্যন্ত বেক্রসিং প্রদান, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নগরবাড়ী ও খুলনা নোয়াপাড়া রুটে নদী ড্রেজিং করা এবং পথে পথে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, বিআইডাব্লিউটিএ’র সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবির, রাকিবুল আলম দিপু, খুরশিদ আলম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।